বিকাশ এজেন্টের দোকান থেকে স্মার্টফোনে বিকাশ লেনদেনের বই ভিডিও ধারণ করে তথ্য সংগ্রহ করে নেয় প্রতারক চক্রের সদস্যরা। এরপর ভিডিও দেখে বিভিন্ন গ্রাহকদের মোবাইল নম্বর সংগ্রহ করে বিকাশ প্রতিনিধি সেজে সেসব নম্বরে ফোন করে কৌশলে পিন নাম্বার সংগ্রহ করে বিকাশ একাউন্টে থাকা অর্থ আত্মসাৎ করে প্রতারকরা। এভাবে বিকাশ প্রতারণার মাধ্যমে চট্টগ্রাম থেকে টাকা হাতিয়ে নেয় মাগুরার প্রতারক চক্র। এই ধরনের একটি চক্রের মূল হোতাসহ দুই সদস্যকে মাগুরা ও চট্টগ্রাম থেকে গ্রেপ্তার করেছে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। গতকাল সোমবার সকালে এসব তথ্য জানান সিএমপির গোয়েন্দা (উত্তর) বিভাগের উপ-কমিশনার মোহাম্মদ সালাম কবির। গ্রেপ্তার হওয়া দুজন হলো, প্রতারক চক্রের মূলহোতা মিঠুন কুমার বালা (২৬) ও হামিদুল মোল্লা (২২)। মিঠুন মাগুরা জেলার শ্রীপুর থানাধীন গোয়ালদহ গ্রামের শিশির কুমার বালার ছেলে এবং হামিদুল একই থানাধীন রায়নগর গ্রামের মৃত আলীম মোল্লার ছেলে। পুলিশ জানিয়েছে, নগরীর ইপিজেডসহ কয়েকটি এলাকার বেশ কিছু বিকাশ গ্রাহক প্রতারণার শিকার হয়ে টাকা খুইয়েছেন। এমন অভিযোগের সত্যতা পেয়ে গোয়েন্দা তৎপরতার মাধ্যমে একটি চক্রকে চিহ্নিত করা হয়। চক্রের সদস্যরা মাগুরা এলাকার। ধারাবাহিক অভিযানের মাধ্যমে গত ১২ জুন মাগুরা জেলার শ্রীপুর এলাকা থেকে মূল হোতা মিঠুন কুমার বালাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তার স্বীকারোক্তি মোতাবেক ১৩ জুন বিকেলে ইপিজেড থানাধীন নিউমুরিং এলাকা থেকে আরেক সদস্য হামিদুল মোল্লাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সিএমপির গোয়েন্দা (উত্তর) বিভাগের উপ-কমিশনার মোহাম্মদ সালাম কবির বলেন, ‘গ্রেপ্তারকৃতরা বিভিন্ন কৌশলে বিকাশ লেনদেনে প্রতারণার মাধ্যমে টাকা হাতিয়ে নেয়ার চেষ্টা করছিল। প্রতারক চক্রের কিছু সদস্য স্মার্টফোনের ক্যামেরা অন করে বিভিন্ন বিকাশ এজেন্টের দোকানে গিয়ে কৌশলে লেনদেন বইয়ের ভিডিও ধারণ করে। এসব ভিডিও হোয়াটঅ্যাপের মাধ্যমে চক্রের অন্য সদস্যদের পাঠিয়ে দেওয়া হয়। এ ধরনের অভিযোগ পাওয়ার গোয়েন্দা তৎপরতা চালিয়ে চক্রের মূল হোতাকে মাগুরা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে জানিয়েছে চট্টগ্রাম থেকে বিকাশ এজেন্টের দোকান থেকে হিসাবের খাতা ভিডিও করে পাঠাতেন হামিদুল্লাহ। এরপর হামিদুল্লাহকেও গ্রেপ্তার করা হয়। এখন তাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। তদন্তে আরও যাদের নাম আসবে সবাইকে চিহ্নিত করে গ্রেপ্তার ও আসামি করা হবে।’