বিকল্প পথে স্বাভাবিক হচ্ছে সেন্টমার্টিন নৌ-যোগাযোগ

কক্সবাজার প্রতিনিধি | সোমবার , ২৪ জুন, ২০২৪ at ১০:৩১ পূর্বাহ্ণ

টেকনাফসেন্টমার্টিন নৌ রুটে বিকল্প পথে চলছে নৌ যান। যাত্রী ও জরুরি পণ্য পরিবহনের জন্য টেকনাফের শাহপরীরদ্বীপ হয়ে সেন্টমার্টিনে চলছে এসব নৌ যান। গতকাল রোববার সকালে শাহপরীরদ্বীপ থেকে জরুরি পণ্য ও কিছু সংখ্যক যাত্রী নিয়ে সেন্টমার্টিন গেছে দুইটি ট্রলার। একই সঙ্গে সেন্টমার্টিন থেকে রোগীসহ ১৫ যাত্রী নিয়ে শাহপরীরদ্বীপ এসেছে দুইটি স্পিড বোট। বিকল্প রুট দিয়ে উত্তাল সাগর পাড়ি দিতে হলেও নৌ যান চলাচল স্বাভাবিক হওয়ায় স্বস্তি প্রকাশ করেছেন দ্বীপের বাসিন্দারা।

সেন্টমার্টিন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান বলেন, সকালে শাহপরীরদ্বীপের বদরমোকাম এলাকা হয়ে দুইটি ট্রলার সেন্টমার্টিনের উদ্দেশ্যে যাত্রা করে। ট্রলার দুইটি বেলা ১২টার দিকে দ্বীপে গিয়ে পৌঁছে। এই ট্রলার দুইটিতে ৩০০ গ্যাস সিলিন্ডার, কিছু খাদ্য পণ্য ও ৩০৪০ জন যাত্রী ছিল। এর আগে শনিবার ও বৃহস্পতিবার যাত্রী নিয়ে কয়েকটি ট্রলার শাহপরীরদ্বীপে নিরাপদে পৌঁছে।

সেন্টমার্টিন ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান ও স্পিড বোট মালিক সমিতির সভাপতি খোরশেদ আলম জানান, প্রশাসনের অনুমতি নিয়ে দ্বীপ থেকে রোগীসহ ১৫ যাত্রী নিয়ে দুইটি স্পিড বোট শাহপরীরদ্বীপে নিরাপদে পৌঁছেছে।

দ্বীপের বাসিন্দা আবদুল মালেক বলেন, কোস্টগার্ড, বিজিবি, নৌ বাহিনীর সার্বিক নজরধারী ও নিরাপত্তায় দ্বীপে আসাযাওয়া স্বাভাবিক হচ্ছে। এতে এখনও কিছুটা আতঙ্ক থাকলেও স্বস্তিতে রয়েছে দ্বীপবাসি। যদিও বিকল্প পথটিতে উত্তাল সাগর পাড়ি দিতে হয়। এতে কিছুটা ঝুঁকিও রয়েছে।

মিয়ানমারে চলমান সংঘাতের কারণে গত ১ জুন বিকালে টেকনাফ থেকে সেন্টমার্টিনে যাওয়া পণ্যসহ ১০ জন যাত্রীর ট্রলারকে নাইক্ষ্যংদিয়া এলাকা থেকে গুলি বর্ষণ করা হয়। গত ৫ জুন সেন্টমার্টিনের স্থগিত করা একটি কেন্দ্রে টেকনাফ উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান পদের ফলাফল নির্ধারণের জন্য ভোট গ্রহণ করা হয়। ভোট শেষে ফেরার পথে দায়িত্বরত ম্যাজিস্ট্রেটসহ নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকর্মচারীদের বহন করা ট্রলারকে গুলি করা হয় একই পয়েন্টে। গত ৮ জুন আরও একটি ট্রলারকে গুলি করা হয় একই পয়েন্টে। সর্বশেষ ১১ জুন একটি স্পিড বোট লক্ষ্য করে গুলি বর্ষণ করা হয়। মিয়ানমারের জলসীমা থেকে ট্রলার যোগে এগিয়ে এসেই এই গুলি বর্ষণের ঘটনা করা হয়। এই ৪ বার গুলি বর্ষণের ঘটনায় কোন হতাহত ছিল না। এই কারণে নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে টেকনাফসেন্টমার্টিন নৌ যান বন্ধ হয়ে যায়। এতে দ্বীপে খাদ্য সংকট ও জরুরি আসাযাওয়ার ক্ষেত্রে কিছুটা প্রতিবন্ধকতা তৈরি হলে কক্সবাজার জেলা প্রশাসন ১২ জুন জরুরি সভা করে বঙ্গোপসাগরকে ব্যবহার করে বিকল্প রুট দিয়ে যাত্রীর আসা যাওয়া ও পণ্য নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধরাসেলস ভাইপার ভেবে পিটিয়ে মারা হল বিষহীন ৪ সাপ
পরবর্তী নিবন্ধআবুতোরাব উচ্চ বিদ্যালয় এসএসসি ৯৭ ব্যাচের পুনর্মিলনী