স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের একটি টিম গতকাল শুক্রবার সকালে সীতাকুণ্ডের বিএম কন্টেনার ডিপোর বিস্ফোরণস্থল পরিদর্শন করেছেন। অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ (সিডিসি) শাখার পরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. নাজমুল ইসলামের নের্তৃত্বে ৯ সদস্যের টিমটি ঘটনাস্থল ও আশপাশের এলাকা পরিদর্শন করেন।
টিমের অন্যান্য সদস্যরা হলেন– অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ বিভাগের উপ–পরিচালক ডা. মো. সফিকুল ইসলাম, ডিএনসিসি ডেডিকেটেড কোভিড–১৯ হাসপাতালের অতিরিক্ত পরিচালক (প্রশাসন) জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মশিউর রহমান, রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার সহকারী পরিচালক ডা. অনিন্দিতা শবনম কোরেশী, সহকারী পরিচালক ডা. মাহী উদ্দিন আহমেদ, ইভালুয়েটর ডা. ফাবলিনা নওশিন, ডাটা ম্যানেজার মো. রাকিবুল ইসলাম, বিসিআইসির ইন্ডাস্ট্রিয়াল সেফটি এন্ড হেলথ বিভাগের কেমিস্ট মো. জিয়াউল হক এবং ডেপুটি চিফ মো. হুমায়ুন কবীর। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের টিমের বিস্ফোরণস্থল পরিদর্শনের সময় চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াছ চৌধুরী এবং সীতাকুণ্ড উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার–পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. নুর উদ্দিনসহ অন্যান্যরা সাথে ছিলেন। পরে টিমটি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যায়।
ঘটনাস্থল পরিদর্শনের বিষয়ে সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াছ চৌধুরী আজাদীকে বলেন, বিস্ফোরণ পরবর্তী ওই এলাকায় জনস্বাস্থ্যের ঝুঁকি পর্যালোচনার উদ্দেশ্যে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এ টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। টিমে দুজন রাসায়নিক বিশেষজ্ঞ ছিলেন। তারা নিজেদের মতো করে বিভিন্ন নমুনা সংগ্রহ করেছেন। এর বাইরে আশপাশের এলাকায় জনস্বাস্থ্যের জন্য ভবিষ্যতে কেমন হুমকি হতে পারে, সেটি নিরুপনে ৭ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে দেয়া হয়েছে। এ কমিটি জনস্বাস্থ্যের ঝুঁকি ও হুমকি পর্যালোচনায় ওই এলাকায় একটি জরিপ পরিচালনা করবে। পরে এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে পাঠাবে।
সাত সদস্যের কমিটি গঠনের তথ্য নিশ্চিত করে সীতাকুণ্ড উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার–পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. নুর উদ্দিন বলেন, ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. মো. আসিফ খান মহোদয়কে সভাপতি করে এ কমিটি করা হয়েছে। ঘটনাস্থল ও আশপাশের এলাকায় জনস্বাস্থ্যের ঝুঁকি মূল্যায়ন করে আমাদের প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। আমরা এ নিয়ে কাজ করব।