বিস্ফোরণের আড়াই মাস পর সীতাকুণ্ডের সোনাইছড়ি এলাকার বিএম কন্টেনার ডিপো খালি কন্টেনার সংরক্ষণ ও পরিবহনের আংশিক কাজ শুরু করেছে। গত সোমবার বিকালে তাদের কার্যক্রম শুরু করে ডিপো কর্তৃপক্ষ।
দুর্ঘটনার পর চলতি মাসে ডিপো কর্তৃপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ২২ আগস্ট শুধু খালি কন্টেনার ওঠানো-নামানো ও সংরক্ষণের অনুমতি দেয় কাস্টমস। অনুমতিপত্রে দুটি শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়। এই শর্তের একটি হলো পরিবেশ অধিদপ্তর, বিস্ফোরক অধিদপ্তর ও ফায়ার সার্ভিসের ছাড়পত্র ১৫ দিনের মধ্যে নিতে হবে। আরেকটি হলো ১৫ দিনের মধ্যে কাছাকাছি কোনো অগ্নিনির্বাপণ কার্যালয় বা ফায়ার স্টেশনের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক সই করতে হবে।
বিএম কন্টেনার ডিপোর মহাব্যবস্থাপক নাজমুল আখতার খান বলেন, বিএম ডিপোতে আমাদের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। কাস্টমের অনুমতি পাওয়ার পর খালি কন্টেনার ওঠানো-নামানো শুরু হয়েছে। আবার ডিপো থেকে খালি কন্টেনার বন্দরে পাঠানো হচ্ছে।
চট্টগ্রাম কাস্টমসের উপ-কমিশনার নুর উদ্দিন মিলন জানান, বিএম ডিপোকে শর্ত সাপেক্ষে শুধু খালি কন্টেনার উঠানো-নামানো ও সংরক্ষণের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তবে আমদানি-রফতানি কার্যক্রম শুরুর অনুমতির বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। গতকাল মঙ্গলবার পর্যন্ত ১৮৪২ বঙ ২৭০১ টিউস খালি কন্টেনার নামানো হয়েছে। এছাড়া ২৩১ বঙ ৩৩৩ টিউস রফতানিতব্য কন্টেনার আউট, ২১৩ বঙ ৪০৭ টিউস আমদানিতব্য কন্টেনার খালাস করা হয়।
উল্লেখ্য, গত ৪ জুন রাতে বিএম ডিপোতে আগুন থেকে বিস্ফোরণে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যসহ ৫১ জন নিহত হন। এ ঘটনায় আহত হন দুই শতাধিক। ডিপোর একাংশ ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়। দুর্ঘটনায় রফতানি পণ্যবাহী ১৫৪ কনটেনার এবং আমদানি পণ্যবাহী দুটি কন্টেনার ক্ষতিগ্রস্ত হয়।