বিএম কন্টেনার ডিপোতে ফের আগুন, পুড়ল পাট

সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি | বুধবার , ১৪ ডিসেম্বর, ২০২২ at ৮:৪২ পূর্বাহ্ণ

সীতাকুণ্ড উপজেলার সোনাইছড়ি বিএম কন্টেনার ডিপোতে ফের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল মঙ্গলবার বিকাল ৩টার দিকে পাটের গুদামে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়। পরে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট প্রায় আধ ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। এর আগে গত ৪ জুন রাতে বিএম কন্টেনার ডিপোতে অগ্নিকাণ্ড ও বিস্ফোরণের ঘটনায় ৫১ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় দুই শতাধিক দগ্ধ ও আহত হন।

বিএম ডিপোর প্রশাসন ও ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা যায়, ডিপোর অভ্যন্তরে দক্ষিণাংশে একটি খোলা গুদামের সেটের মধ্যে রপ্তানির জন্য প্রায় এক টন পাট মজুদ রাখা ছিল। বিকাল ৩টার দিকে সেখানে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়। প্রথমে বিএম ডিপোর লোকজন আগুন নেভানোর চেষ্টা করে। প্রায় ২০ মিনিট পর আগুনের শিখা বেড়ে যাওয়ায় কুমিরা ফায়ার সার্ভিসকে খবর দিলে তাদের দুটি ইউনিট প্রায় এক ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে এতে হতাহতের কোনো ঘটনা ঘটেনি।

চট্টগ্রাম নগরীর আগ্রাবাদ ফায়ার সার্ভিসের উপ-পরিচালক আব্দুল হামিদ মিয়া জানান, খবর পেয়ে কুমিরা ফায়ার সার্ভিসের দুটি গাড়ি ৩০ মিনিট চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

সীতাকুণ্ড উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শাহাদাত হোসেন বলেন, যেখানে আগুন লেগেছে সেখানে শর্ট সার্কিটের কোনো সুযোগ নেই। তাই ধারণা করা হচ্ছে সিগারেটের আগুন থেকে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত ঘটতে পারে।

বিএম কন্টেনার ডিপোর নির্বাহী পরিচালক ক্যাপ্টেন মাইনুল আহসান বলেন, আনুমানিক ৩টা ১৫ মিনিটে বিএম কন্টেনার ডিপোর জুট শেডে ধোঁয়া দেখলে নিরাপত্তা বিভাগ তাৎক্ষণিক প্রশাসন বিভাগকে অবহিত করে। প্রশাসন বিভাগ ডিপোর অগ্নিনির্বাপণকারী দলকে নিয়ে উক্ত স্থানে গেলে জুটে আগুন দেখতে পায় এবং অগ্নিনির্বাপণকারী দল দ্রুত নিজস্ব অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে ৫-৭ মিনিটের মধ্যে আগুন নেভাতে সক্ষম হয়।

ইতোমধ্যে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের টিম উপস্থিত হয় এবং তাদের সমন্বয়ে আগুন সম্পূর্ণভাবে নিভিয়ে ফেলে। ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের প্রতিবেদন অনুসারে ক্ষতিগ্রস্ত মালামাল কাঁচা পাট ও পাটের তৈরি সুতা। আগুনে ২-৩ টন সুতা নষ্ট হয়েছে, যার আনুমানিক মূল্য এক থেকে দেড় লক্ষ টাকা। দুর্ঘটনার কারণ উদঘাটনে তদন্ত করছে ফায়ার সার্ভিস। এ দুর্ঘটনায় কোনোরূপ হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
প্রসঙ্গত, ৪ জুনের অগ্নিকাণ্ড ও বিস্ফোরণে আহতদের চট্টগ্রাম ও ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়।

এর মধ্যে ৬৩ জনের চোখ আক্রান্ত বা ক্ষতিগ্রস্ত হয় বলে জানিয়েছিলেন চিকিৎসকরা। তাদের দীর্ঘদিন চিকিৎসা নিতে হতে পারে বলেও জানানো হয়।

পূর্ববর্তী নিবন্ধগণসমাবেশ সফল করে সাধারণ মানুষ সরকারকে লাল কার্ড দেখিয়েছে
পরবর্তী নিবন্ধরোবট করবে জিনস সেলাই এশিয়ার সামনে শঙ্কা