শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেছেন, বিএনপি নেতৃত্বের মাথায় ঘিলু নেই। গতকাল চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মীরসরাই ও আনোয়ারায় দুটি বিশাল অর্থনৈতিক জোনের শুভযাত্রায় আজ (গতকাল) চট্টগ্রামের সাথে ভার্চুয়ালি সংযোগ চলমান রেখেছেন। তিনি ঘোষণা দিয়েছেন ফেনী থেকে চট্টগ্রাম সমুদ্র উপকূল পর্যন্ত মেরিন ড্রাইভ করে দেবেন। এ ধরনের একের পর এক উন্নয়নের ফলক তিনি চট্টগ্রামে স্থাপন করে গেছেন এবং আগামীতেও করে যাবেন। অথচ অসৎ উদ্দেশ্যে আজকে যারা সরকার পতনের ডাক দিয়েছেন তারা এসব দেখেও দেখেন না। কারণ তাদের মগজের ঘাটতি রয়েছে। আজ উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে মহল বিশেষ ষড়যন্ত্রমূলকভাবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পরিকল্পিতভাবে গুজব ছড়াচ্ছেন।
তারা বলছেন ব্যাংকে টাকা নেই এবং চাষাবাদ না করলে জমি খাস হয়ে যাবে। এ ধরনের প্ররোচনামূলক অপপ্রচার প্রমাণ করে বিএনপি নেতৃত্বের মাথায় ঘিলু নেই। কারণ তাদের চেয়ারপার্সন আন্ডারমেট্রিক, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আন্ডার ইন্টারমিডিয়েট। দ্বিতীয় বা তৃতীয় শ্রেণির নেতারা কেউ কেউ শিক্ষিত হলেও যেহেতু তাদের চেয়ারম্যান ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের লেখাপড়া নেই তাহলে তাদের নিচুস্তরের নেতাদের যে জ্ঞান, বুদ্ধি বা শিক্ষা আছে তারও কোনো দাম নেই। মাথায় যদি ঘিলু না থাকে তাহলে হাত-পাসহ শরীরের কোনো অংশ কাজ করে না।
তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, বিএনপি দাবি করছে তাদেরকে সমাবেশ করতে বাধা দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু তারা ২০০১ সালে আওয়ামী লীগকে ঘরছাড়া করতে চেয়েছিল, ধ্বংস করতে চেয়েছিল। শেখ হাসিনার মুভমেন্ট বন্ধ করার জন্য গুলি চালিয়েছিল। এমনকি বাঁশখালীর সাধনপুরে ১১ জনকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করা হলে শেখ হাসিনা চট্টগ্রাম ছুটে এসেছিলেন। বাঁশখালীতে তাকে সভা করতে দেওয়া হয়নি। তিনি গাছতলার নিচে দাঁড়িয়ে নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সাথে দেখা করেছিলেন ও তাদের সান্ত্বনা দিয়েছিলেন।
নওফেল দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বলেন, আমরা যদি এখন নিজেরা নিজেদের সমালোচনা না করে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ মোকাবেলায় সর্বশক্তি নিয়োগ করি, তাহলে কিছুতেই আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকার বিজয়রথ আটকানো কারো পক্ষে সম্ভব হবে না।