হাটহাজারীতে বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মীর হেলালসহ ৯ জনের নাম উল্লেখ করে চাঁদাবাজি মামলা করা হয়েছে। শনিবার (২২ জুলাই) দিবাগত রাতে হাটহাজারী থানায় মামলাটি দায়ের করেছেন মো. নুরুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি। তিনি মীর হেলালের মালিকানাধীন একটি ভবনের কেয়ারটেকার এবং হাটহাজারী পৌরসভার ৭ নম্বর এলাকার মৃত নুরুল আলমের ছেলে।
মীর হেলাল ছাড়াও এ মামলার বাকি আসামিরা হলেন, তকিবুল হাসান চৌধুরী ত্বকি (৩৮), জিএম সাইফুল (৪০), গিয়াস উদ্দিন (৫৫), মনিরুল ইসলাম জনি, মো. সাহেদ (২৪), মো. সাইফুল (২৫), এমরান শিকদার (৩৫) ও মিজান (২৩)। মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধি আইনের ১৪৩, ৪৪৮, ৩৮৫, ৫০৬ (২) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে। খবর বাংলানিউজের।
মামলার বিষয়ে জানতে বাদী নুরুল ইসলামকে বেশ কয়েকবার মোবাইল ফোনে কল দেওয়া হলেও তিনি রিসিভ করেননি।
মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন হাটহাজারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুজ্জামান। তিনি বলেন, প্রাণনাশের হুমকি এবং বসতবাড়িতে ঢুকে চাঁদা দাবি করার অভিযোগে ৯ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা ২০ থেকে ২৫ জন আসামি করা হয়েছে। মামলায় এখনো পর্যন্ত কোনও আসামি গ্রেপ্তার করা হয়নি।
তবে মামলার প্রধান আসামি মীর হেলাল বলেন, আমাদের বাসার ভাড়াটিয়ার সঙ্গে বাসা ছাড়া নিয়ে ঝামেলা হয়েছিল। আমি কেয়ারটেকারকে দুই জনের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে থানায় পাঠিয়েছিলাম। শনিবার সারাদিন ঘুরিয়েছিল মামলা নেবে কি নেবে না সেটা নিয়ে। শনিবার দিবাগত রাত দুইটার দিকে একটি কাগজে স্বাক্ষর নিয়েছে পুলিশ। সেখানে কাগজটাকে এজাহার হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। সেখানে আমাকেও আসামি করা হয়েছে। তিনি পড়ালেখা জানেন না।
এদিকে মীর হেলালের বাবা মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দীন এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, ছেলে মীর হেলাল উদ্দীনকে আসামি করে মামলা দায়ের বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না। মামলাটিকে ষড়যন্ত্রমূলক উল্লেখ করে এটি প্রত্যাহারের দাবি জানান।