ঢাকার গণসমাবেশের জন্য বিএনপি নিয়ম অনুযায়ী আবেদন করেছে বলে জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, ডিএমপি এখনও সমাবেশের স্থান দেয়নি। পল্টনে সমাবেশ করার কথা বলা হয়েছে। ডিএমপির প্রতি আহ্বান, কোনো ঝামেলা না করে যেন স্থানের অনুমতি দেয়। দায়িত্ব এখন সরকারের, বিএনপি নিয়ম মেনে সমাবেশের আবেদন করেছে। গতকাল বুধবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন। ‘দেউলিয়াত্ব ঘোচাতে দুর্ভিক্ষের নাটক? দেশ কোন পথে’ শীর্ষক সেমিনারটির আয়োজন করে নাগরিক ঐক্য। খবর বাংলানিউজের।
সরকারের প্রতি ইঙ্গিত করে মির্জা ফখরুল বলেন, নতুন করে গায়েবি মামলা শুরু করেছে। ককটেল ফাটানোর কথা বললেও যে ঘটনা কেউ শোনেনি, কেউ দেখেনি, তা নিয়ে গায়েবি মামলা দিচ্ছে। পুরানো নাটক শুরু করেছে সরকার, যেন বিএনপি মামলা নিয়ে ব্যস্ত থাকে, অন্যদিকে সরকার নিজের কাজ করে যেতে পারে।
তিনি বলেন, সরকার পতনের আন্দোলন ভিন্ন খাতে নিতেই আগুন সন্ত্রাস আর জঙ্গি নাটকের ধোঁয়া তুলছে ক্ষমতাসীনরা। দেশে জঙ্গি ছিনতাই নাটক তৈরি করার হচ্ছে উদ্দেশ্য হলো, সরকার জনগণের মূল দাবি ভিন্ন খাতে নিতে চায়। বিএনপি মহাসচিব বলেন, আওয়ামী লীগ জাতির জন্য বোঝা হয়ে গেছে, তাদের সরাতে না পারলে সবাই ডুবে যাবে।
মির্জা ফখরুল বলেন, সাধারণ মানুষের দুঃখ কষ্ট না দেখে আওয়ামী লীগ নেতারা মালয়েশিয়া, কানাডা ও সিঙ্গাপুরের রঙিন জীবন দেখছে। আওয়ামী লীগ সম্পূর্ণ দেউলিয়া হয়ে গেছে। আওয়ামী লীগ যখনই ক্ষমতায় আসে তখনই দুর্ভিক্ষ হয়। আওয়ামী লীগের যারা রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্বে থাকে, তাদের দুর্নীতি লুটপাট দুর্ভিক্ষের অন্যতম কারণ।
তিনি বলেন, সরকার হটাতে জনগণের ঐক্যের মধ্য দিয়ে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। সরকারকে সরে যেতে হবে, নতুন নির্বাচন দিতে হবে, কোনো দলীয় সরকার নয়, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে হবে। সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে। নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্নার সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বক্তৃতা করেন।