চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহতাব উদ্দীন চৌধুরী বলেছেন, এই চকবাজার এলাকা মুক্তিযুদ্ধের ঘাঁটি ছিল। এখান থেকেই এই এলাকার শ্রেষ্ঠ সন্তান কাজী ইনামুল হক দানু আইয়ুব খানের পোষ্যপুত্র মোনায়েম খানকে জুতা ছুঁড়ে মেরেছিলেন। এই এলাকায় বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার বার্তার প্রথম ঘোষক এম.এ হান্নানের ঠিকানা। দুর্ভাগ্যের বিষয় এই এলাকাটিতে বিশ্ববিদ্যালয় এবং মেডিকেল কলেজে ভর্তির নামে জামায়াত–শিবিরের প্রত্যক্ষ ইন্ধনে কিছু কোচিং সেন্টার হয়েছে। এগুলো প্রকৃত অর্থে স্বাধীনতা বিরোধীদের আস্তানা। এই আস্তানা ভেঙে দিতে গিয়ে বার বার প্রশাসন ব্যর্থ হয়েছে। তাই প্রশাসনের প্রতি দাবি রইল এই আস্তানাগুলো নিশ্চিহ্ন করে স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তিকে রুঁখে দেয়ার জন্য সহায়তা করুন।
তিনি গতকাল বুধবার বিকেলে বঙ্গবন্ধুর ৪৮তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস পালনোপলক্ষে চকবাজার থানা আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন। তিনি নেতাকর্মীদের আন্দোলন–সংগ্রামে রাজপথে থাকার আহ্বান জনান।
প্রধান বক্তা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, সেপ্টেম্বর মাস এলেই নাকি স্বাধীনতা বিরোধী বিএনপি ও তার অনুসারীরা দেশকে কথিত আন্দোলনের নামে উল্টে–পাল্টে দেবেন। তারা যদি আবার জ্বালাও পোড়াও করে তাহলে রাজপথে আছি এবং রাজপথে থাকবো। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা অনুযায়ী জনগণ অংশগ্রহণ করলেই অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
চকবাজার থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাহাবউদ্দীন আহমেদের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আনছারুল হকের সঞ্চালনায় শোকসভায় আরও বক্তব্য রাখেন সংসদ সদস্য মহিউদ্দিন বাচ্চু, থানা আওয়ামী লীগের মোজাম্মেল হক খোকা, সাইফুল ইসলাম রাসেল, মো. নাজিম উদ্দীন, মো. গিয়াস উদ্দীন, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাইফুল আলম বাবু, কামরুল ইসলাম, সাবেক মহিলা কাউন্সিলর আঞ্জুমান আরা বেগম, মহিলা কাউন্সিলর রুমকী সেনগুপ্ত, সৈয়দ রফিকুল ইসলাম, সেলিমুর রহমান, ছাত্রলীগের মজিবুর রহমান রাসেল, জিএম তৌসিফ, জাহিদুল ইসলাম। সভামঞ্চে উপস্থিত ছিলেন মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি নঈম উদ্দীন চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক নোমান আল মাহমুদ এমপি, শফিক আদনান, শফিকুল ইসলাম ফারুক, মো. হোসেন, আবু তাহের, শহীদুল আলম, মহব্বত আলী খান, রেজাউল করিম কায়সার, হারুনুর রশিদ, ফারুক খালেদ চৌধুরী, জাফর আহমদ চৌধুরী প্রমুখ। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।












