বিএনপি-জামায়াতের অরাজকতা দমনে প্রস্তুত থাকতে হবে..

দুই থানা ও আট ওয়ার্ডের নেতাকর্মীদের সাথে মতবিনিময়ে শিক্ষা উপমন্ত্রী

আজাদী প্রতিবেদন | রবিবার , ৩০ এপ্রিল, ২০২৩ at ৬:৪৬ পূর্বাহ্ণ

শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেছেন, আগামী ঈদুল ফিতর হবে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পরে। আগামী ঈদুল ফিতরে আমরা বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাকে আবারো রাষ্ট্র ক্ষমতায় দেখতে চাই। এটা আমাদের সকলের প্রার্থনা এবং দোয়া চাওয়া। বিএনপি যদি ক্ষমতা আসে তাহলে তারেক রহমান লুটপাট করে সব লন্ডনে নিয়ে যাবেন। প্রধানমন্ত্রী সারা দেশকে উন্নয়নের মাধ্যমে একটি সাজানো বাগানে পরিণত করেছেন। আর বিএনপিজামায়াত সুযোগ বুঝে এই দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি করে দেশকে ধ্বংস করতে চায়। বিএনপিজামায়াত নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে চাইলে জবাব দিতে প্রস্তুত থাকতে হবে।

গত শুক্রবার রাতে নগরীর দুটি কমিউনিটি সেন্টারে দুই থানা, আট ওয়ার্ড ও ওয়ার্ডসমূহের অন্তর্গত ইউনিট আওয়ামী লীগের কমিটির সাথে ঈদপরবর্তী শুভেচ্ছা বিনিময় ও মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, কিছুদিন পরেই ঈদুল আজহা আসছে। তার আগে এবং পরে ষড়যন্ত্রকারীরা আবার মাঠে নামবে। বিএনপিজামায়াত আবার অরাজকতা সৃষ্টি করে দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করবে। তাদের এই অরাজকতা কঠোর হস্তে দমন করতে এবং উপযুক্ত জবাব দিতে আপনাদের প্রস্তুত থাকতে হবে। তাদের রাজপথে কিভাবে মোকাবেলা করবেন সেই সাংগঠনিক নির্দেশনা নগর আওয়ামী লীগের সম্মানিত ভারপ্রাপ্ত সভাপতিসাধারণ সম্পাদকসহ নগর আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ দেবেন। নওফেল বলেন, আওয়ামী লীগের কর্মী হিসেবে আমাদের একটা নৈতিক দায়িত্ব আছে। সেইটা হচ্ছে আমাদের নেত্রী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা যে উন্নয়নসমূহ করছেন তা সাধারণ মানুষের কাছে তুলে ধরা। আমরা মন্ত্রী, মেয়র, সাংসদ, কাউন্সিলর যে যাই কিছু করি তা একমাত্র সম্ভব হয়েছে একজন শেখ হাসিনার কারণে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দিচ্ছেন বলেন আমরা দিতে পারছি।

তিনি বলেন, প্রতিটা ছোট ছোট মিটিংয়ে দেখা যায় বিএনপি প্যাকেট বিরানি খাচ্ছে। এই বিরানির টাকা তারা কোথায় পাচ্ছে? আওয়ামী লীগ টানা ১৪ বছর ক্ষমতায় থাকার পরে ছোটখাটো মিটিংয়ে বিরানি খাওয়ানো সম্ভব না। বিএনপিকে অরাজকতা করার জন্য এদের পিছনে অনেকে টাকা বিনিয়োগ করছে। মানুষকে বোঝাতে হবে বাংলাদেশকে কি আপনারা আফগানিস্তান বানাতে চান? যদি বাংলাদেশকে আফগানিস্তান বানাতে না চান এবং চলমান উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে চান, তাহলে আওয়ামী লীগ ও বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার কোনো বিকল্প নেই।

মতবিনিময় সভাগুলোয় উপস্থিত ছিলেন কোতোয়ালী থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফিরোজ আহম্মেদ, সাধারণ সম্পাদক আবুল মনসুর, মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি অ্যাডভোকেট ইব্রাহীম হোসেন চৌধুরী বাবুল, সিডিএ চেয়ারম্যান জহিরুল আলম দোভাষ, সাংগঠনিক সম্পাদক শফিক আদনান, তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক চন্দন ধর, বন ও পরিবেশ সম্পাদক মশিউর রহমান চৌধুরী, উপদপ্তর সম্পাদক কাউন্সিলর জহর লাল হাজারী, মোতালেব চৌধুরী, আশফাক আহম্মদ, ফারুক আহম্মেদ, লায়ন আশীষ ভট্টাচার্য, স্বপন মজুমদার, মোহাম্মদ ইছাক, কাউন্সিলর পুলক খাস্তগীর, আব্দুর সালাম মাসুম, নিলু নাগ ও লুৎফুনন্নেছা দোভাষ বেবী, আবুল মনসুর চৌধুরী, আমির আহম্মেদ, এস এম মুরাদ, বাপ্পি দেব বর্মন, মোহাম্মদ ইছাক, আহম্মেদ ইলিয়াস, কাউন্সিলর মোহাম্মদ শহীদুল আলম, বখতিয়ার উদ্দিন খান, মো. ইউনুস কোম্পানি, নুরুল আজিম নুরু, মো. জাহাঙ্গীর আলম, আলী নেওয়াজ, আকবর আলী আকাশ, ইফতেখার আলম জাহেদ, ফয়েজ উল্লাহ বাহাদুর, কাউন্সিলর নুরুল আলম মিয়া, হাজী নুরুল হক, শাহীন আক্তার রোজী প্রমুখ।

পূর্ববর্তী নিবন্ধস্বাস্থ্য পরীক্ষা করাতে হাসপাতালে ভর্তি খালেদা জিয়া
পরবর্তী নিবন্ধচেন্নাইয়ের অফিসার্স ট্রেনিং একাডেমিতে প্যারেড পরিদর্শন সেনাবাহিনী প্রধানের