চট্টগ্রাম–১০ নির্বাচনী আসনে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের আওতাধীন ১০টি ওয়ার্ড ও ইউনিট আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সাথে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে সাবেক মন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন এমপি বলেছেন, বিয়ের পাত্র–পাত্রী নির্বাচনের জন্য যেমন ঘটকের দারস্থ হতে হয় ঠিক সেইভাবে বিএনপি ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য বিদেশি ঘটকের আশ্রয় নিয়েছে। কারণ তারা জানে প্রকৃত ভোট যুদ্ধে তাদের আস্থা ও বিশ্বাস নেই। তাই জনগণের কাছে প্রত্যাখ্যাত হওয়ার আশংকায় বিএনপি চাইছে তাদেরকে ক্ষমতাধর বিদেশী মুরব্বী ক্ষমতায় বসিয়ে দিক। এটা স্বপ্ন, অসম্ভব ও অবাস্তব।
তিনি গতকাল শনিবার সকালে লালখান বাজারে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মহিউদ্দিন বাচ্চুর নির্বাচনী অফিসে মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন।
ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন বলেন, আমাদের দলের অনেক নেতাকর্মী সমর্থক। কিন্তু উপ নির্বাচনে দেখা যায়, ভোটের টার্নআউট কম। এটা সাংগঠনিক দুর্বলতা নয়, অবহেলা। সবাইকে নিয়ে ভোট কেন্দ্রে যেতে হবে। ভোট না দিলে মনে হবে যেন অনীহা। নগর আওয়ামী লীগের যে সাংগঠনিক শক্তি তা কার্যকর করলে অনেক ভোটার ভোটকেন্দ্রে যাবে।
তিনি বলেন, মীরসরাইয়ে দুটি পৌরসভায় ইভিএমে ৬০ শতাংশ ভোট পড়েছিল। সবাই যদি মনে করি, সে (দলীয় প্রার্থী) তো হয়ে যাবে। তাহলে হবে না। ভোট আপনার অধিকার। সবাইকে উদ্বুদ্ধ করতে হবে। শুধু কেন্দ্রে জটলা পাকালে হবে না। ভোটারদের ভোট কেন্দ্রে আনতে হবে।
আমাদের নগর কমিটি মাহতাব উদ্দিন ও আ জ ম নাছিরের নেতৃত্বে অনেক শক্তিশালী। যদি ৪০ শতাংশ ভোট কাস্ট করতে পারেন, সেটা অনেক ইতিবাচক হবে।
চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দীন চৌধুরী বলেছেন, বেশ কয়েকজন নেতা মনোনয়ন চেয়েছিলেন। তবে প্রধানমন্ত্রী যাকেই মনোনয়ন দিয়েছেন তাকে বিজয়ী করাটাই নেতাকর্মীদের প্রধান কর্তব্য।
চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সিটি মেয়র আ.জ.ম. নাছির উদ্দীন বলেছেন, চট্টগ্রাম–১০ আসনের উপনির্বাচন আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পূর্বে একটি ড্রেস রিহার্সেল। এই রিহার্সেলে জানান দিতে হবে আওয়ামী লীগের প্রতি জনগণের আস্থা ও বিশ্বাস রয়েছে। তিনি বলেন, এই উপনির্বাচনে আমাদের প্রার্থী বিজয়ী হবে, এটা বাস্তবতা। কিন্তু ভোটার উপস্থিতি যদি কম হয় তাহলে সেটার সমালোচনা হবে। বিরোধীরা বলবে ভোটে মানুষের আস্থা নেই। দেশে ৩০০ আসনে দলের সবচেয়ে খারাপ সেখানেও ৩০–৩৫% ভোটার আছে। তাহলে ভোটাররা কেন্দ্রে যাবে না কেন।
তিনি জানান, তাদের লক্ষ্য ৫০ শতাংশ ভোটার উপস্থিতি। তবে ৪০ শতাংশ হলেও তাকে সন্তোষজনক বলবেন। তিনি বলেন, এ নির্বাচনে ভাবমূর্তি, অস্তিত্ব নির্ভর করে। সেভাবে সবাইকে দায়িত্ব পালন করতে হবে।
চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের নির্বাহী কমিটির সদস্য ও শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল এমপি বলেছেন, প্রান্তিক স্তরে যেসকল মানুষ সরকারের উপকার ভোগী রয়েছেন তাদেরকে দলে টানতে পারলে আওয়ামী লীগের বিজয় নিশ্চিত এবং তারাই আওয়ামী লীগের ক্ষমতার উৎস। তাদের প্রতি শতভাগ ভরসা ও বিশ্বাস আওয়ামী লীগের আছে।
চট্টগ্রাম–১০ আসনের উপ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মহিউদ্দিন বাচ্চু বলেন, আমি আল্লাহর রহমতে নির্বাচিত হলে প্রয়াত জননেতা ডা. আবছারুল আমীনের অসমাপ্ত কাজগুলো সম্পন্ন করতে সচেষ্ট থাকবো।
চট্টগ্রাম–১০ নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক, চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি আলহাজ্ব নঈম উদ্দীন চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য ও চট্টগ্রাম–১০ নির্বাচনী আসনের প্রচার ও দপ্তর বিভাগের সমন্বয়ক আলহাজ্ব শফিকুল ইসলাম ফারুকের সঞ্চালনায় মত বিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ আতাউর রহমান, চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি এড. ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুল, নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব আলতাফ হোসেন চৌধুরী বাচ্চু, চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উত্তর জেলার সহ সভাপতি এটিএম পেয়ারুল ইসলাম, মহানগর আওয়ামী লীগের আলহাজ্ব বদিউল আলম, উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের দেবাশীষ পালিত, জসীম উদ্দীন শাহ, চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শফিক আদনান, চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনী, সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য এড. শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী, চন্দন ধর, মসিউর রহমান চৌধুরী, আহমেদুর রহমান সিদ্দিকী, হাজী মোঃ হোসেন, ইঞ্জিনিয়ার মানস রক্ষিত, দিদারুল আলম চৌধুরী, ডা. ফয়সাল ইকবাল চৌধুরী, প্রমুখ।












