বিএনপি ক্ষমতায় গেলে শিক্ষাখাতে সবচেয়ে বেশি বিনিয়োগ হবে বলে জানিয়েছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেন, আগামীর বাংলাদেশের যে স্বপ্ন আমরা দেখছি তার জন্য বেশি জোর দিতে হবে শিক্ষায়। আগামীর নতুন বাংলাদেশ হবে শিক্ষানির্ভর। কারণ শিক্ষিত না হলে জাতি নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারবে না।
তিনি গতকাল বুধবার সকালে নগরের হালিশহরে রাবেয়া বসরী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। বিদ্যালয় কমিটির সভাপতি মো. শফিউল্লাহর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন নগর বিএনপির সদস্য সচিব নাজিমুর রহমান। আমীর খসরু বলেন, আমাদের পেছনে তাকানোর সময় নেই। সামনের দিকে এগুতে হবে। নতুন বাংলাদেশে শিক্ষা লাগবে, বড় বড় ব্রিজ দালান নয়। সুশিক্ষিত জাতি থাকলে দাঁড়াতে পারবে দেশ। প্রতিটি স্কুলে ল্যাবরেটরি করতে হবে, কারিগরি শিক্ষার ব্যবস্থা থাকতে হবে।
নারী ক্ষমতায়ন ছাড়া দেশ এগিয়ে যেতে পারে না মন্তব্য করে তিনি বলেন, নারীদের সাথে নিয়ে দেশ গড়তে হবে। মেয়েদের শিক্ষা বেশি প্রয়োজন। মেয়েদের শিক্ষার ব্যাপারে বেশি জোর দিতে হবে, যাতে স্বামীর মুখাপেক্ষী হতে না হয়।
খসরু বলেন, বিশ্বে প্রযুক্তিতে যে পরিবর্তন আসছে তার সাথে আমাদের মেয়েরা যদি সংযুক্ত হতে না পারে তাহলে তারা পিছিয়ে পড়বে, পড়ালেখা করেও কোনো লাভ হবে না। মেয়েদেরকে কম্পিউটার শিক্ষায় শিক্ষিত হতে হবে। সর্বক্ষেত্রে আমরা মেয়েদেরকে দেখতে চায়; তাদের চাকরিতে, ক্রীড়াঙ্গনে ও রাজনীতিতে দেখতে চায়। সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগন খালেদা জিয়া নারী শিক্ষার জন্য অনেক অবদান রেখেছেন। আগামীতে ও নারী শিক্ষার অগ্রগতি নিয়ে তারেক রহমান নানা পদক্ষেপ নিবেন। তিনি আরও বলেন, খেলাধুলা সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড এগুলোও শিক্ষার অংশ। এগুলো একসাথে চালাতে হবে। বিগত দিনে আমরা অনেক স্কুলে দালান করে দিয়েছি। ভবিষ্যৎ আমরা এ ব্যাপারে ইনশাল্লাহ আরো বেশি খেয়াল রাখব।
সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন নগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক শফিকুর রহমান স্বপন, মঞ্জুর আলম, সাবেক কাউন্সিলর আবুল হাসেম ও জেসমিন খানম, প্রধান শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ, শিক্ষক তাজউদ্দীন, বিপাশা রুপা, শাহিন আক্তার, বিএনপি নেতা আবু জহুর, মোহাম্মদ সাইফুল, নূর সেলিম বাঙালি, মহল্লা কমিটির সভাপতি আবুল বাশার, রফিকুল ইসলাম। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন স্কুলের শিক্ষিকা রোকেয়া বেগম ও সামিনা আক্তার।
