বিএনপি ক্ষমতায় এলে ‘নগর সরকার’ গঠনে উদ্যোগ নেওয়ার জন্য দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপার্সন তারেক রহমানকে প্রস্তাব দিয়েছেন সিটি মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন। গত শনিবার সন্ধ্যায় লন্ডনের কিংস্টোনে তারেক রহমানের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন মেয়র। এ সময় সিটি কর্পোরেশন, চট্টগ্রাম শহরের উন্নয়ন ও দলের স্থানীয় রাজনীতি প্রসঙ্গে পৌনে এক ঘণ্টা আলোচনা হয় উভয়ের মধ্যে। এ সময় মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালনের এক বছর উপলক্ষে প্রকাশিত ‘উন্নয়ন প্রতিবেদন’ তারেক রহমানকে হস্তান্তর করেন মেয়র। এছাড়া গত এক বছরে নিজের কর্মকাণ্ড এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা তুলে ধরেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ডা. শাহাদাত আজাদীকে জানান, দীর্ঘ ১৭ বছর পর তারেক রহমানের সাথে তার বাসায় সরাসরি সাক্ষাৎ হয়েছে তার। যদিও দীর্ঘ এ সময়ে স্কাইপি ও ফোনে নিয়মিত কথা হয়েছে উভয়ের মধ্যে। দুইবার চেষ্টা করেও ভিসা জটিলতায় লন্ডনে গিয়ে সাক্ষাৎ করার সুযোগ হয়নি। তারেক রহমানের সঙ্গে কী আলোচনা হয়েছে জানতে চাইলে শাহাদাত বলেন, মেয়র হিসেবে আমার এক বছর পূর্ণ হয়েছে। গত এক বছরে সিটি কর্পোরেশনের কাজকর্ম আমি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানকে অবহিত করেছি। এক বছর উপলক্ষে প্রকাশিত উন্নয়ন প্রতিবেদনের বইটিও তার হাতে তুলে দিয়েছি।
তিনি বলেন, এক বছরে আমরা মোটামুটি সব নালা–নর্দমা পরিষ্কার করেছি। যার ফলাফল এ বছর হাতেনাতে পেয়েছি। এ বছর চট্টগ্রাম নগরীর জলাবদ্ধতা অর্ধেকে নেমে এসেছে। আরো ২১–২২টা খাল নিয়ে কাজ করার পরিকল্পনাও তাকে জানিয়েছি। এগুলো খনন করা হলে স্থায়ীভাবে চট্টগ্রাম জলাবদ্ধতামুক্ত হওয়ার পথে এগিয়ে যাবে। চট্টগ্রামকে গ্রিন, ক্লিন, হেলদি ও সেইফ সিটি হিসেবে গড়ে তুলতে যে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা আছে, সে বিষয়েও পরামর্শ নিয়েছি।
ডা. শাহাদাত বলেন, আমি বলেছি, পরিকল্পিত উন্নয়নের জন্য নগর সরকার খুব দরকার। বিএনপি ক্ষমতায় আসলে যাতে এটা করা হয়। আসল একেক সংস্থা একেকভাবে কাজ করে। কোনো সমন্বয় নেই। এতে শেষ পর্যন্ত নাগরিকরাই ভোগেন। সমন্বয় হবে তখনই, যখন নির্বাচিত ব্যবস্থার মধ্যে আইনগত কর্তৃত্ব দেওয়া হবে। সিটি কর্পোরেশনের মেয়র জনগণের সরাসরি ভোটে নির্বাচিত হন। সুতরাং সিটি কর্পোরেশনের মাধ্যমে নগর সরকার গঠনের কোনো বিকল্প নেই। আমি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মহোদয়কে বলেছি, বিএনপি ক্ষমতায় এলে অবশ্যই যেন নগর সরকার গঠনের উদ্যোগ নিয়ে সেটা বাস্তবায়ন করা হয়।
উল্লেখ্য, গত ৮ নভেম্বর ব্যক্তিগত সফরে যুক্তরাজ্যে গেছেন ডা. শাহাদাত হোসেন। থাইল্যান্ড হয়ে চলতি মাসের শেষে অথবা আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহে দেশে ফেরার কথা রয়েছে।












