পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে পুলিশ ও সন্ত্রাসীদের গুলিতে পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন রাউজানের নোয়াপাড়া ইউনিয়নের বিএনপি কর্মী কামরুল হাসান। গতকাল শুক্রবার বিকেলে নোয়াপাড়া ইউনিয়নের পলোওয়ান পাড়ার একটি মাদরাসা মাঠে হুইল চেয়ার চেপে তিনি সংবাদ সম্মেলনে আসেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন কামরুল হাসানের স্ত্রী পারভিন আকতার, মেয়ে রুনা আকতার, রেশমি আকতার ও সানজিয়া হাসান।
কামরুল হাসান অভিযোগ করে বলেন, তিনি বিএনপি নেতা গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরীর পক্ষে সক্রিয়ভাবে কাজ করায় রাউজানের সাবেক সংসদ সদস্য এবিএম ফজলে করিম চৌধুরীর রোষানলে পড়েন। তার নির্দেশে নোয়াপাড়ার সাবেক চেয়ারম্যান বাবুল মিয়া ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী দফায় দফায় তাকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে বিভিন্ন মামলায় জড়িয়ে দেয়। তিনি বলেন, এসব হামলা–মামলার নির্যাতন সইতে না পেরে নিরাপত্তার কারণে আমাকে বাড়িঘর ছেড়ে বিভিন্নস্থানে আশ্রয় নিতে হয়। আমি আমার মেয়ের শ্বশুরবাড়ি বোয়ালখালীতে আছি এই সংবাদ পেয়ে গত ২০১৪ সালে আওয়ামী সন্ত্রাসীদের সহায়তায় পুলিশের তৎকালীন নোয়াপাড়া ক্যাম্পের ইনচার্জ এসআই টুটুন মজুমদার আমাকে সেখান থেকে তুলে নিয়ে আসে। সন্ত্রাসীদের সহায়তায় বাড়ির কাছে এনে নাটক সাজিয়ে আমার দুই পায়ে গুলি করে ও হাতের আঙ্গুল কেটে দেয়। এই ঘটনার পর পুলিশ বন্দুকযুদ্ধ দেখিয়ে আমাকে জেলে পাঠায়। পরবর্তীতে জামিনে বের হয়ে পঙ্গু অবস্থায় বোয়ালখালীতে ভাড়া বাসা নিয়ে বসবাস করতে শুরু করলে সেখান থেকেও পুলিশ তুলে এনে মিথ্যে অস্ত্র মামলায় আদালতের মাধ্যমে জেলে পাঠায়। এসময় অশ্রুসিক্ত কণ্ঠে তিনি বলেন, একমাত্র বিএনপি করার কারণে আমার ওপর চালানো হয় মধ্যযুগীয় বর্বরতা। এখন আমি জানি আর কখনও ফিরে পাব না আমার পা। নিজ পায়ে দাঁড়িয়ে হাঁটতে পারব না কোনোদিনও। যতদিন বাঁচব এই দীর্ঘশ্বাস নিয়েই বাঁচতে হবে। তিনি বলেন, আমাকে পঙ্গু করে দেয়ার নির্দেশদাতা ফজলে করিম, এসআই টুটুন মজুমদারসহ সকল সন্ত্রাসীর বিচার চাই।