বিএনপি এখন আস্তে আস্তে উঁকি দিচ্ছে

চন্দ্রঘোনা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী

রাঙ্গুনিয়া প্রতিনিধি | শুক্রবার , ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ at ১০:১৯ অপরাহ্ণ

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এমপি বলেছেন, “বিএনপি এখন আস্তে আস্তে উঁকি দিচ্ছে, বিএনপি এলাকায় আসার চেষ্টা করছে। কিন্তু এতদিন তাদের খবর ছিল না। গত নির্বাচনের সময় তাদের ধানের শীষের ক্যাম্পেইন করতে আমরা দেখেছি কিন্তু গত ৩ বছর ধরে তাদের আর দেখা যায়নি। তারা বন্যার সময় ছিল না, ঘূর্ণিঝড়ের সময় ছিল না, গত দুই বছর করোনার সময়ও তাদের দেখা যায়নি। এখন আস্তে আস্তে তারা আবার উঁকি দিচ্ছে। বিএনপি জনপদে এসে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করলে জনগণকে সাথে নিয়ে তাদের কঠোর হস্তে দমন করতে হবে।”

আজ শুক্রবার(১১ ফেব্রুয়ারি) রাঙ্গুনিয়া উপজেলার চন্দ্রঘোনা-কদমতলী ইউনিয়নের লিচু বাগান এলাকার একটি কমিউনিটি সেন্টারে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে ভার্চুয়ালি সংযুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মো. হারুন সওদাগরের সভাপতিত্বে সম্মেলনে উদ্বোধক ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আবদুল মোনাফ সিকদার।

প্রধান বক্তা ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার শামসুল আলম তালুকদার।

সাধারণ সম্পাদক মো. জালাল উদ্দিনের সঞ্চালনায় সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান স্বজন কুমার তালুকদার, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক পৌর মেয়র মো. শাহজাহান সিকদার, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক মো. আলী শাহ, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক চেয়ারম্যান ইদ্রিছ আজগর, সদস্য আকতার হোসেন খাঁন, উত্তর জেলা কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম, উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা মাস্টার আসলাম খাঁন, শেখ ফরিদ উদ্দিন চৌধুরী, আবু তাহের, আরিফুল ইসলাম চৌধুরী, এমরুল করিম রাশেদ, শেখর বিশ্বাস, ইলিয়াছ কাঞ্চন চৌধুরী, আবু মনছুর, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি শামসুদ্দোহা সিকদার আরজু, সাধারণ সম্পাদক মো. ইউনুচ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি নাছির উদ্দিন রিয়াজ, উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি রাসেল রাসু প্রমুখ।

তথ্যমন্ত্রী আরো বলেন, “আওয়ামী লীগের প্রাণ হচ্ছে তৃণমূলের নেতাকর্মীরা। তৃণমূলের নেতাকর্মীরাই আওয়ামী লীগকে সমস্ত প্রতিকূলতার মধ্যেও টিকিয়ে রেখেছে। আওয়ামী লীগের ইতিহাস লড়াই সংগ্রামের ইতিহাস। বাঙালির সমস্ত অর্জনের পেছনে জড়িয়ে রয়েছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নাম। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে আমরা স্বাধীনতা সংগ্রাম করেছি, বঙ্গবন্ধুর হাত ধরে আমরা স্বাধীনতা ছিনিয়ে এনেছি। বাংলাদেশ সৃষ্টির পর বঙ্গবন্ধু যখন যুদ্ধ বিধ্বস্ত বাংলাদেশকে পুনর্গঠিত করে দেশকে যখন সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন তখন তাঁকে হত্যা করা হয়েছিল। তাঁকে হত্যার পর বাংলাদেশকে দীর্ঘ ২১ বছর পিছিয়ে দেওয়া হয়েছিল।”

তিনি বলেন, “১৯৯৬ সালে বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার গঠিত হওয়ার পর বাংলাদেশ আবার অগ্রগতি অর্জন করা শুরু করল কিন্তু ৫ বছরের মাথায় একটি সূক্ষ্ম কারচুপির নির্বাচনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগকে আবার পরাজিত করা হলো। তারপর আবার বাংলাদেশ উল্টো পথে চলা শুরু করে। বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে বাংলাদেশ জঙ্গিবাদের অভয়ারণ্যে পরিণত হলো, বাংলাদেশ দুর্নীতিতে পর পর ৫ বার চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। তাদের এই অপকর্মের কারণে বাংলাদেশে তখন জরুরি অবস্থা জারি হলো, জরুরি অবস্থার সরকার দেশকে অগ্রগতির দিকে না নিয়ে বরং দেশকে আরও পিছিয়ে নিল।”

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, “২০০৯ সালে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এবং আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে মহাজোট যখন আবার ক্ষমতায় এলো তখন থেকে বাংলাদেশ আবার উন্নতির দিকে ধাবিত হলো। এখন বাংলাদেশ সমস্ত সূচকে পাকিস্তানকে পেছনে ফেলেছে। স্বাধীনতার ৫০ বছরে তারা এখন আমাদের দেখে দীর্ঘশ্বাস ফেলে।”

দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তথ্যমন্ত্রী বলেন, “আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দকে অনুরোধ জানাবো আপনারা মানুষের ঘরে ঘরে যান, আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে যে পরিবর্তনগুলো এসেছে, সেই পরিবর্তনের কথাগুলো জনগণকে জানান। দলে মাদকাসক্তদের কোনো ঠাঁই হবে না, আমাদের দলে যারা ইয়াবা ব্যবসার সাথে যুক্ত, যারা জায়গা দখলের সাথে যুক্ত, চাঁদাবাজির সাথে যুক্ত তাদের কোনো ঠাঁই হবে না। দলের নাম ব্যবহার করে কেউ যেন অপকর্ম করতে না পারে সেই ব্যাপারে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। নতুন কমিটিতেও তাদের জায়গা দেয়া যাবে না। যেই নেতৃত্বের কোনো বদনাম কিংবা দুর্নাম নাই, তাদেরকেই দলে জায়গা দিতে হবে।”

পূর্ববর্তী নিবন্ধপ্রেমের ফাঁদে ফেলে ছিনতাই, নারীসহ গ্রেপ্তার ৩
পরবর্তী নিবন্ধআইসিইউতে পাঁচ বিভাগের সমন্বয়ে চলছে রক্তিমের চিকিৎসা