বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি বলেছেন, আমরা আওয়ামী লীগের একদলের, এক ব্যক্তির শাসন দেখেছি। বিএনপি আন্দোলন করেছে কিন্তু এককভাবে ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য নয়। বিএনপি এক ব্যক্তির শাসন দেখতে চায় না বলেই ২০১৭ সালে বেগম খালেদা জিয়া ভিশন ২০-৩০ জাতির সামনে তুলে ধরেছিল। এর ধারাবাহিকতায় তারেক রহমান একত্রিশ দফা ঘোষণা দিয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে সারাদেশে মানুষের সাথে আলোচনার পর বিপুল সাড়া পেয়েছি যে ৩১ দফার ভিত্তিতে দেশে দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট সংসদ হতে পারে। একটি উচ্চকক্ষ, আরেকটি নিম্নকক্ষ। একদলের শাসন না আসার জন্য বৃহত্তর স্বার্থে একত্রিশ দফার ভিত্তিতে যেন দেশ চলে সেজন্য দলে এবং দলের বাইরে আমরা কাজ করছি। এই ৩১ দফার মধ্যে সব বিষয় আছে। তারেক রহমান নতুন রাজনৈতিক ধারণা নিয়ে কাজ করছে। তাই আমরা ওলামা দলকে সাথে নিয়ে নতুন বাংলাদেশ গড়তে চাই।
তিনি শনিবার (১৯ অক্টোবর) বিকেলে কাজীর দেউরীস্থ ভিআইপি ব্যাঙ্কুয়েট হলে চট্টগ্রাম বিভাগীয় উলামা দলের কর্মী সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
চট্টগ্রাম মহানগর উলামা দলের আহ্বায়ক মাওলানা শহীদ উল্লাহ চিশতির সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব মাওলানা জয়নাল আবেদীন এবং দক্ষিণ জেলার সদস্য সচিব মাওলানা জাবের হোসাইনের পরিচালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম জামাল, কেন্দ্রীয় সদস্য মাওলানা শাহ নেছারুল হক, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব নাজিমুর রহমান। প্রধান বক্তা ছিলেন ওলামা দলের কেন্দ্রীয় কমিটির আহবায়ক মাওলানা কাজী সেলিম রেজা, বিশেষ বক্তা ছিলেন কেন্দ্রীয় ওলামা দলের যুগ্ম আহ্বায়ক এডভোকেট মাওলানা কাজী আবুল হোসেন ও কাজী মাওলানা আলমগীর হোসেন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মাহবুবের রহমান শামীম বলেন, আওয়ামী লীগ আজীবন ক্ষমতায় থাকার জন্য গনতন্ত্রকে হত্যা করেছিল। কিন্তু ছাত্র জনতার গণআন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনাকে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে হয়েছে। বিগত সতের বছর ধরে বিএনপি এই আন্দোলন সংগ্রামের মাঠ তৈরি করেছে। তারেক রহমানের আহবানে সাড়া দিয়ে লক্ষ লক্ষ মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছিল। তার সুযোগ্য নেতৃত্বে এবং দিক নির্দেশনায় আন্দোলনের সফলতা এসেছে। বর্তমানে ফ্যাসিস্টরা বিদায় নিলেও দেশে এখনো আওয়ামী লীগের ঘাতকরা রয়ে গেছে। পরাজিত ঘাতকরা যাতে মাথাচাড়া দিতে না পারে, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। তাই রাষ্ট্রের কাটামো সংস্কারের পর দ্রুত নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে। জনগণের ক্ষমতা জনগণের হাতে ফিরিয়ে দিতে হবে।
নাজিমুর রহমান বলেন, ছাত্র জনতার আন্দোলনে হাজারো রক্তের বিনিময়ে আমরা অর্জন করেছি বাংলাদেশে নতুন স্বাধীনতা। বাংলাদেশের মানুষ গণতন্ত্রকে ছিনিয়ে নিয়ে এসেছে। এই নতুন স্বাধীনতা, এই বিজয়কে অর্থবহ করতে চাইলে সবাইকে ধৈর্য্য ধরতে হবে। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রকে মোকাবেলা করতে হবে। প্রকৃত গণতান্ত্রিক নির্বাচনের মধ্য দিয়ে একটি রাজনৈতিক সরকার প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। বাংলাদেশে গণহত্যাকারীর আর কোনোদিন জায়গা হবে না।
এতে বক্তব্য রাখেন উলামা দলের কেন্দ্রীয় সদস্য মাওলানা আবদুল হান্নান জিলানী, মাওলানা কাজী মোজাম্মেল হক, উত্তর জেলা উলামা দলের আহ্বায়ক মাওলানা জমির উদ্দিন, সদস্য সচিব মাওলানা রফিক উল্লাহ হামিদী, দক্ষিণ জেলার আহ্বায়ক মাওলানা মো. ফোরকান, রাঙ্গামাটি জেলার আহ্বায়ক মাওলানা আবুল কাশেম, সদস্য সচিব মাওলানা মো. ইব্রাহিম, ফেনী জেলার আহ্বায়ক মাওলানা মিজানুর রহমান, সদস্য সচিব মাওলানা আবু বক্কর চৌধুরী, নোয়াখালীর আহবায়ক মাওলানা আলমগীর আমান প্রমুখ।