বিএনপির ৫৬ জন নেতাকর্মী আটক

যারা আটক হয়েছেন তারা মামলার আসামি : সিএমপি

আজাদী প্রতিবেদন | বুধবার , ২৭ জানুয়ারি, ২০২১ at ৬:৩২ পূর্বাহ্ণ

বিএনপির ৫৬ জন নেতাকর্মীকে আটক করেছে নগর পুলিশ। পরে তাদের নগরের বিভিন্ন মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে গতকাল সন্ধ্যায় আদালতে হাজির করা হলে বিচারক কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন। এদিকে বিএনপির মেয়র প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেন দাবি করেছেন, গ্রেপ্তারকৃতরা সবাই তার নির্বাচনী এজেন্ট।

এ অভিযোগ প্রসঙ্গে সিএমপি কমিশনার সালেহ্‌ মোহাম্মদ তানভীর আজাদীকে বলেন, বিএনপি তাদের নেতাকর্মীদের আটকের বিষয়ে যে অভিযোগ করছেন তা মোটেও সঠিক নয়। আমরা নিয়মিত পুলিশি কার্যক্রম পরিচালনা করছি। যারা আটক হয়েছেন বলে জানতে পেরেছি, তারা কোনো না কোনো মামলা বা ওয়ারেন্টের আসামি।
আসামি পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আবদুস সাত্তার আজাদীকে বলেন, সন্ধ্যায় তাদের আদালতে হাজির করা হলে জামিন আবেদন করা হয়। আদালত জামিন না মঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠিয়ে দেন। গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে কোতোয়ালী থানা এলাকা থেকে মো. ইলিয়াছ মিয়া, মো. শাহীন, আশরাফুল ইসলাম অনিক, মো. আলী, মোহাম্মদ কিবরিয়া, মো. মামুন, মোহাম্মদ আনোয়ার, আব্দুর রাজ্জাক, মনজুর, নুর মোহাম্মদ, আমিনুর রহমান মিয়া, আবু নাছির সাজ্জাদ, আউনুর ইসলাম, শহীদুল রনিকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আকবর শাহ থানা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় মো. বেলাল হোসেন, মো. মানিক, দেলোয়ার হোসেন কালা, আবু তাহের, মনির, গোলাপ হোসেন, রাসেল, রাব্বি, মো. শরীফ, তানবীর আলম রুবেল, শাহআলম মনির চৌধুরীকে। এছাড়া বায়েজিদ থানা এলাকা থেকে জাবেদ ওমর, মনির খসরু, ইলিয়াছ, মহিন, জাহাঙ্গীর, মিজান, মনির হোসেন ভুট্টো, শাকিল, শহিদুল ইসলাম, সৈয়দ জয়নাল, মিলন, মাছুদ, লাবলু, রফিক, মইনু উদ্দিন, জামাল উদ্দিন, রাতুল, মো. মামুন, মো. করিম, মাসুদ রানা। হালিশহর থানা পুলিশ মো. মুরাদ মনির হোসেন, মনিরুল ইসলামকে, চান্দঁগাও থানা পুলিশ মোশররফ হোসেন ও ওসমানকে, পাচঁলাইশ থানা পুলিশ পশ্চিম ষোলশহর ওয়ার্ডের মামুন খন্দকার, মো. হেলাল, কাজী সামশু, শোলকবহর ওর্য়াডের আবু সিদ্দিককে, খুলশী থানা জাহিদুল ইসলাম জাবেদরক, বাকলিয়া থানা খোরশেদ আলম, মোহাম্মদ সুজন, মকবুল হোসেন, রেজিয়া বেগম মুন্নি, এমদাদুল ইসলাম সাকিল,কাদের, লাগুন, মিন্টু,শামীম, এরশাদ, নবাব, তকি, রুদ্রর, হোসেন, বাছির আলী, মো. আইয়ূব, খোরশেদকে, পাহাড়তলী থানা মো. বেলাল, অপি, ওয়াহিদকে, পতেঙ্গা থানা কায়সার আলম, ইকবাল হোসেন, বখতেয়ার উদ্দীন, জাহাঙ্গীর আলম, আব্দুল হালিম (ডেভিড), সেলিম সরদার, আলী রাশেদ, আলী হোসেন, আবু, সায়দুজ্জামান রণিকে, বন্দর থানা মো. আসলাম, শামসুদ্দিন, আরমান শুভ, মো. ইসমাইল, মো. আব্বাস, আলী হোসেন মো. আবু, মো. দেওয়ানকে, ডবলমুরিং থানা কাইয়ূম রিপন, জাহেদ হোসেন বাবু, জাহিদ হাসান বাবু, কাইয়ূম হোসেন রিপনসহ ইকবাল হোসেন, মো. আব্দুল হালিম সওদাগর ও মো. মহসীনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

পূর্ববর্তী নিবন্ধনগরীতে তিন স্তরের নিরাপত্তা
পরবর্তী নিবন্ধবিজয় মিছিল করা যাবে না