মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু’র আসার খবরে বিএনপি নেতারা আবার চাঙ্গা হয়ে উঠেছেন মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, তারা আবার ক্ষমতায় যাওয়ার স্বপ্নে বিভোর হয়ে গেছেন। আরে বেকুবের দল, লু আসছে শেখ হাসিনার সরকারের সঙ্গে সম্পর্ক আরও এগিয়ে নিতে। বিএনপির স্বপ্নপূরণের জন্য আমেরিকা আর আসবে না। কেউই আসবে না। লন্ডন থেকে ডাক দিয়ে কোনো লাভ হবে না। গতকাল শনিবার রাজধানীর মোহাম্মদপুরের গজনবী রোডে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগ আয়োজিত শান্তি সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। খবর বাংলানিউজের।
জনগণের জানমাল রক্ষায় আবার খেলা হবে উল্লেখ করে সমাবেশে নেতাকর্মীদের প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। তিনি বলেন, এমন এক শিক্ষা দেব এবার, পালাতে পালাতে ওলি–গলি পার হয়ে বুড়িগঙ্গার পচা পানি খাবে ডুবে ডুবে! বিএনপির সঙ্গে এখন জনগণ নেই মন্তব্য করে তিনি ওবায়দুল কাদের বলেন, তাদের দল ভুয়া, তাদের আন্দোলন ভুয়া, সব নাটক ভুয়া, সব কর্মসূচি ভুয়া, বিএনপি হলো একটি ভুয়া। এই ভুয়া দলের ভুয়া আন্দোলন জনগণ বিশ্বাস করে না।
সেতুমন্ত্রী আরও বলেন, গতকাল পল্টনে বিএনপির গয়েশ্বর চন্দ্র এক পসরা মিথ্যাচার করলেন। আমি জানতে চাই, গয়েশ্বর বাবু কোথায় ছিলেন এতদিন? কোথায় পালিয়ে ছিলেন? ভারতে? মাথায় তো দেখছি গান্ধী টুপি। কী একটা টুপি পরে এখন ভণ্ডামি শুরু করেছেন। বিএনপি এখন ভেক ধরেছে, ভণ্ডামি শুরু করেছে।
তিনি বলেন, গয়েশ্বর কালকে পল্টনে দাঁড়িয়ে আমাদের (আওয়ামী লীগ) বলে ভারতের দালাল। আরে এই অপবাদ তো আইয়ুব খান, ইয়াহিয়া, জিয়াউর রহমান, এরশাদের আমলে আমরা অনেক শুনেছি। দালালি কারা করে? নরেন্দ্র মোদি যখন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন, সকালে বন্ধের দিনে ভারতীয় দূতাবাসে বিএনপি নেতারা ফুল আর মিষ্টি নিয়ে হাজির হয়েছিল। দালাল কারা?
ভারত বাংলাদেশের বন্ধু উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ২১ বছর ভারতের সঙ্গে শত্রুতা করে আমাদের লাভ হয়নি। এই বিএনপি ভারতের সঙ্গে শত্রুতা করে সংশয়, অবিশ্বাস সৃষ্টি করেছিল। যে কারণে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের উন্নতি হয়নি। শেখ হাসিনা এসে এই সংশয়, সন্দেহ, অবিশ্বাসের দেয়াল ভেঙে দিয়েছেন।
ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমানের সভাপতিত্বে সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য এবং বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা জাহাঙ্গীর কবির নানক, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাড. কামরুল ইসলাম, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী মো. আব্দুর রহমান, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, অ্যাড. আফজাল হোসেন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. রোকেয়া সুলতানা, আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাস, কৃষি ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী, আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল, যুব মহিলা লীগের সভাপতি ডেইজি সারোয়ার। শান্তি সমাবেশে প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম মান্নান কচি।