নগরে বিএনপির জনসমাবেশে হাতাহাতিতে জড়িয়েছেন মহিলা দলের দুই গ্রুপ। গতকাল বিকেলে নাসিমন ভবনস্থ দলীয় কার্যালয়ের সামনে নূর আহম্মদ সড়কে নগর মহিলা দলের সভাপতি মনোয়ারা বেগম মনির অনুসারীদের সঙ্গে পদবঞ্চিতদের এ হাতাহাতি হয়েছে। এ সময় দুই গ্রুপের মাঝখানে পড়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন কেন্দ্রীয় যুগ্ম সম্পাদক (বর্তমানে পদ স্থগিত রয়েছে) ফাতেমা বাদশা। তাকে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, হাতাহাতি চলাকালে কয়েকজনের হাতে জুতা দেখা গেছে। পরে নগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর ও সদস্য জাহাঙ্গীর আলম দুলাল এসে দুই গ্রুপের হাতাহাতি থামান। কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে নগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলা বিএনপি এ জনসমাবেশ আয়োজন করে। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। মহিলা দলের হাতহাতির বিষয়টি তিনি মঞ্চে বসে নিজের মোবাইলে ভিডিও করেছেন বলে এক বিএনপি নেতা দৈনিক আজাদীকে জানিয়েছেন।
হাতাহাতিতে জড়ানো নগর মহিলা দলের সহ–সভাপতি ( বর্তমানে পদ স্থগিত রয়েছে) আঁখি সুলতানা দৈনিক আজাদীকে বলেন, কাজীর দেউড়ি থেকে মিছিল নিয়ে ফাতেমা বাদশাসহ সমাবেশে আসি। প্রবেশ করার সময় মনোয়ারা বেগম মনি বাধা দেয়। আমরা তার সাথে কোনো ধরনের বাগ্বিতণ্ডা না করে প্রবেশ করি। তখন মনির ইশারায় তার অনুসারী পারভীন চৌধুরী ও রাবেয়া বেগমসহ আরো কয়েকজন মিলে আমাদের ওপর হামলা করে। মনিও যোগ দিয়েছে এতে। আমরাও প্রতিবাদ করি। তখন একটু ধস্তাধস্তি হয়েছে। থামাতে এসে হামলার শিকার হন ফাতেমা বাদশাও। তিনি অজ্ঞান হয়ে পড়েন। তাকে আমরা একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করিয়েছি।
পদ স্থগিত থাকা আরেক সহ–সভাপতি জেসমিনা খানম আজাদীকে বলেন, মনোয়ারা বেগম মনির নেতৃত্বে হামলা হয়েছে। আমরা তার বহিষ্কার চাই।
জানতে চাইলে মনোয়ারা বেগম মনি দৈনিক আজাদীকে বলেন, আমি কাউকে বাধা দিইনি। ফাতেমা বাদশা সিনিয়র। তিনি যখন আসেন তাকে আমি নিজেই নিয়ে আসি। আমার বিরুদ্ধে ‘মিথ্যা’ অভিযোগ আনা হচ্ছে। অনেকে ভিডিও করেছে। সেটা দেখলে বুঝা যাবে। হাতাহাতি প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বলেন, তেমন কিছু হয়নি।
জানা গেছে, গত ৩০ মার্চ পুরনো দুই নেতৃত্ব বহাল রেখে অর্থাৎ টানা তৃতীয়বারের মত মনোয়ার বেগম মনিকে সভাপতি ও জেলী চৌধুরীকে সাধারণ সম্পাদক করে ১৩৬ সদস্য বিশিষ্ট নগর মহিলা দলের কমিটি ঘোষণা করা হয়। নতুন নেতৃত্ব না আসার প্রতিবাদে জেসমিনা খানম, আঁখি সুলতানা ও দেওয়ান মাহমুদা আক্তার লিটাসহ ১৩ জন পদত্যাগ করেন। ২৬ এপ্রিল এ চার নেত্রীর দলীয় পদ স্থগিত করে কেন্দ্র। এরপরও নগর মহিলা দলের কমিটির বাতিলের দাবিতে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে যাচ্ছিলেন তারা। সর্বশেষ গতকাল হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।











