নির্বাচনসহ বিভিন্ন বিষয়ে বিএনপি নেতাদের সঙ্গে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাদের কথার লড়াই থামাতে উদ্যোগী হয়েছেন আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল। তিনি বলেছেন, বিএনপির সঙ্গে ছাত্রনেতাদের অথবা গণঅভ্যুত্থানের শক্তিগুলোর কোনো দূরত্ব বা ভুল বোঝাবুঝি কাম্য নয়।
গতকার রোববার দুপুরে এক ফেইসবুক পেইজে তিনি লেখেন, এটি (ভুল বোঝাবুঝি) গণহত্যাকারী আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও তাদের দোসরদের কতটা উৎসাহিত ও বেপরোয়া করে তুলতে পারে, তার কিছুটা প্রমাণ আমরা গত কয়েক দিনে পেয়েছি। আসিফ নজরুল বলছেন, ওই ভুল বোঝাবুঝির ফলে গত দুদিন ফেইসবুক গুজবে ভরে গিয়েছিল। গত দুদিন ফেইসবুক ছেয়ে গিয়েছিল ড. মুহাম্মদ ইউনূস, উপদেষ্টা ও ছাত্রনেতাদের পলায়নের গুজবে। এই গুজবের উন্মত্ততায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা নাশকতা করার চেষ্টা করেছে এমন খবরও প্রকাশিত হয়েছে। আতঙ্কিত হয়ে আমার কাছে দু’একজন ফোন করেছেন, ঘটনা কী জানার জন্য। খবর বিডিনিউজের।
আইন উপদেষ্টা চারটি বিষয় তার পোস্টে লিখেছেন। তার ভাষায়, এগুলো তিনি জানেন এবং বিশ্বাস করেন। ১. বিএনপি ষড়যন্ত্র বা ১/১১ ধরনের কিছুতে আগ্রহী নয়। ২. ছাত্রনেতারা সরকারে থাকা অবস্থায় কোনো রাজনৈতিক দল গঠন করছেন না বা এতে যোগ দিতে যাচ্ছেন না। ৩. জুলাই ঘোষণাপত্র হবে একটি রাজনৈতিক দলিল এবং এটি প্রণয়নে গণঅভ্যুত্থানের শক্তিগুলোর মতামত আন্তরিকভাবে প্রতিফলনের ইচ্ছা ছাত্রনেতাদের রয়েছে। ৪. বিএনপি ও ছাত্রনেতারা এমনকি নির্বাচনকেন্দ্রিক বৃহত্তর সমঝোতার বিষয়েও অনাগ্রহী নন (এর ধরন ও ফর্মুলা আলোচনা সাপেক্ষে)। তাই বিরোধের কোনো কারণ নেই।
আসিফ নজরুল বলেন, সবাইকে বরং বুঝতে হবে ঐক্য ছাড়া আমাদের বিকল্প নেই। গণহত্যাকারীদের দল আওয়ামী লীগের হাতে রয়েছে লুটের লক্ষ–লক্ষ কোটি টাকা, অনেক অন্ধ স্তাবক ও সুবিধাবাদী গোষ্ঠী, শক্তিশালী প্রচারণা নেটওয়ার্ক, তাদের পেছনে রয়েছে ক্ষমতাশালী ভিন্ন রাষ্ট্র। এদেরকে রুখতে হলে, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদ ছাত্র–জনতার আত্মত্যাগকে মনে রেখে আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। আমাদের মধ্যে ভিন্নমত থাকবে, কিন্তু তা বাংলাদেশের শত্রুদের জন্য উৎসাহব্যঞ্জক হয়ে ওঠার পর্যায়ে যেন না যায়।