ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলায় বিএনপির দুপক্ষের সংঘর্ষে এক কর্মী নিহতের ঘটনায় দলটির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ ইসলামসহ ৩৬ জনের নামে হত্যা মামলা হয়েছে। ঘটনার দুই দিন পর নিহত কবির ভূঁইয়ার স্ত্রী মোনজিলা বেগম বাদী হয়ে গত শুক্রবার রাতে থানায় মামলাটি করেন বলে জানান ফরিদপুরের (নগরকান্দা–সার্কেল) সহকারী পুলিশ সুপার আসাদুজ্জামান শাকিল। খবর বিডিনিউজের।
মামলায় ৩৬ জনের মধ্যে নগরকান্দা উপজেলা বিএনপির জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি বাবুল তালুকদার, সাধারণ সম্পাদক সাইফুর রহমান মুকুল এবং তার ভাই মাসুদুর রহমানকেও আসামি করা হয়েছে। এ ছাড়া অজ্ঞাত পরিচয় আরও ৫০ থেকে ৬০ জনকে আসামি করা হয়েছে। যেখানে শামা ওবায়েদকে হুকুমের আসামি করা হয়েছে। নিহত কবির ভূঁইয়া (৫৫) উপজেলার ছাগলদি গ্রামের আবুল বসার ভূঁইয়ার ছেলে। তিনি বিএনপির কর্মী ছিলেন।
নগরকান্দা থানার ওসি আমিনুর রহমান বলেন, এ মামলায় এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। তবে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
মামলার ঘটনাকে নিজের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে দেখছেন শামা ওবায়েদ ইসলাম। তবে নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে স্থানীয় প্রশাসন ও বিএনপির কাছে ন্যায় বিচার প্রত্যাশা করেছেন কেন্দ্রীয় বিএনপির এই নেতা।
ফরিদপুর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক সৈয়দ জুলফিকার হোসেন জুয়েল বলেন, শামার রাজনৈতিক ক্যারিয়ারের ক্ষতি করার জন্য তার নাম জড়ানো হয়েছে। সঠিক তদন্ত করলে প্রমাণ হবে তিনি এতে জড়িত নন। ঘটনার দিন তিনি বাড়িতেই ছিলেন না। যে বা যার উষ্কানিতে শামার বিরুদ্ধে মামলাটি হয়েছে, তারা বিএনপির ভাবমূর্তি নষ্ট করেছেন বলে দাবি জুলফিকার হোসেনের।
এর আগে বুধবার ঢাকা থেকে ভাঙ্গা চৌরাস্তা হয়ে কৃষক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম মোটর শোভাযাত্রা নিয়ে নগরকান্দা উপজেলায় যান। সেখানে পথসভা করতে গেলে শামা ওবায়েদের সমর্থকদের সঙ্গে শহীদুল ইসলামের সমর্থকদের সংঘর্ষ হয়। এতে কবির ভূঁইয়া নিহত হন।
সংঘর্ষের ঘটনায় রাতেই সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ ও জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলামের (বাবুল) দলীয় পদ স্থগিত করেছে বিএনপি।