চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ১৯ নম্বর দক্ষিণ বাকলিয়া ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির প্রার্থী হয়েছেন দুই ভাই। আওয়ামী লীগের কাউন্সিলর প্রার্থী নুরুল আলম মিয়ার নির্বাচনী কার্যালয়ে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। অভিযোগ উঠেছে তার ভাই বিএনপির প্রার্থী ইয়াসিন চৌধুরী আছুর বিরুদ্ধে। গতকাল রোববার বিকেলে মিয়াখান নগর হাজী মনসুর আলী রোডে নুরুল আলম মিয়ার কার্যালয়ে বিএনপি সমর্থিতরা এ ঘটনা ঘটিয়েছে বলে জানান বাকলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি রুহুল আমিন। এ ঘটনায় ২ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
নুরুল আলম মিয়া অভিযোগ করেন, আমাদের নারী নেত্রীরা নৌকা ও মিষ্টি কুমড়া মার্কার গণসংযোগে যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। এ সময় ১৫ জন নারী ও ১৫ জন পুরুষ এসে নারী নেত্রীদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। এতে আমার স্ত্রীসহ ৫ জন নারী নেত্রী আহত হন। দুর্র্বৃত্তরা হামলার পূর্বে সিসি ক্যামেরা ভাঙচুর করেছে। বিদ্রোহী প্রার্থী আজিজুর রহমান আজিজ ও বিএনপির প্রার্থী ইয়াসিন চৌধুরী আছুর সহযোগিতায় মোরশেদ খানের গ্রুপের লোকজন এ ঘটনা ঘটিয়েছে। হামলার পরপর আমাদের নেতাকর্মীরা ধাওয়া করে দুজনকে ধরে ফেলেছে। আমরা মামলা করতে থানায় যাচ্ছি।
তিনি বলেন, আমি দলীয় সমর্থন পাওয়ার পরে আমার বিল্ডিংয়ের টাংকিতে শিশুর লাশ ফেলে জেলে পাঠাতে চেয়েছিল। এরপর আবার আমার বাড়িতে মোরশেদ খানের গুণ্ডাবাহিনী দিয়ে ভাঙচুর করেছে। সেদিন আমার বাসার নিচে তারা গোলাগুলিও করেছে। এ সংক্রান্তে আমি বাকলিয়া থানায় মামলা দায়ের করেছিলাম।