বিএনপিসহ কিছু ব্যক্তি ও সংগঠনের বাজেট প্রতিক্রিয়া কাকাতুয়ার শেখানো বুলির মতো উল্লেখ করে তথ্য ও সমপ্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিগত কয়েক বছরের সংবাদপত্র ঘাটলেই দেখা যাবে, প্রতি বছর বাজেটের পর তারা একই মন্তব্য করে আসছেন। গতকাল শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর মিন্টু রোডে সরকারি বাসভবনে আগামী অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত বাজেট নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এক প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী একথা বলেন। খবর বাংলানিউজের।
এ সময় বিভিন্ন দেশের বাজেটের সঙ্গে তুলনামূলক চিত্রে দেশের বাজেটকে তুলে ধরেন তথ্য ও সমপ্রচারমন্ত্রী।
সিপিডি এবং কেউ কেউ বাজেটে ঘাটতির কথা তুলে একে দুর্বল বলেছে, এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বিশ্বের অন্য দেশগুলোর উদাহরণ দিয়ে বলেন, গত বছর যুক্তরাষ্ট্রে জিডিপির তুলনায় বাজেট ঘাটতি ছিল ১৫ দশমিক ২ শতাংশ, যুক্তরাজ্যে ১৪ দশমিক ৩ শতাংশ, জাপানে ১২ দশমিক ৬২ শতাংশ, প্রতিবেশী দেশ ভারতে ৯ দশমিক ৩ শতাংশ, আর সেখানে বাংলাদেশে এই ঘাটতি মাত্র ৬ দশমিক ২ শতাংশ। করোনার মধ্যেও বাংলাদেশ যে এগিয়ে গেছে তার প্রমাণ, দেশের মানুষের মাথাপিছু আয় যেমন ভারতকে ছাড়িয়ে ২ হাজার ২২৭ ডলারে দাঁড়িয়েছে, সেই সঙ্গে শ্রীলঙ্কাকে ২৫০ মিলিয়ন ডলার ঋণ দিয়ে বাংলাদেশ এখন ঋণদাতা দেশে পরিণত হয়েছে বলেও উল্লেখ করেন মন্ত্রী।
তথ্য ও সমপ্রচার মন্ত্রী ড. হাছান বলেন, ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের দেওয়া বাজেট ছিল ৮৮ হাজার কোটি টাকা আর এবারের প্রস্তাবিত ৬ লাখ ৩ হাজার ৬৮১ কোটি টাকার বাজেট সেই তুলনায় ৮ গুণ বেড়েছে, যা গত সাড়ে ১২ বছরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের অভূতপূর্ব অগ্রগতির নজির।
‘বাজেটে সাধারণ মানুষের জন্য কিছু নেই’ বিএনপি মহাসচিবের এমন মন্তব্য খণ্ডন করে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বাজেটে সাধারণ মানুষের জন্য পরিবহন, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, কর্মসৃজনকে যেমন সর্বাধিক গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে, তেমনি বাজেটের ৫ শতাংশ বরাদ্দ সামাজিক নিরাপত্তা খাতে রাখা হয়েছে, যা ভারতে ৩ দশমিক ১ শতাংশ এবং দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে গড় বরাদ্দ ৩ দশমিক ৪৮ শতাংশ মাত্র।