বিএনপির পক্ষে গণজোয়ার দেখে আওয়ামী লীগ ভয় পেয়েছে

বিক্ষোভ সমাবেশে ডা. শাহাদাত হোসেন

আজাদী প্রতিবেদন | সোমবার , ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২২ at ৪:৫৭ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, জ্বালানি ও দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি এবং তিনজন কর্মীকে হত্যার প্রতিবাদে সারাদেশে বিএনপির সমাবেশে হাজার হাজার মানুষ উপস্থিত হচ্ছেন। এটি দেখে সরকার এখন বিএনপির প্রতিবাদ সমাবেশ প্রতিহত করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। ঢাকাসহ সারাদেশে বিএনপির সমাবেশে হামলা চালিয়ে বরকত উল্লাহ বুলুসহ নেতাকর্মীদের আহত করেছে। আওয়ামী লীগ একটি গণতন্ত্রবিরোধী সন্ত্রাসী শক্তি। তারা অতীতেও একদলীয় বাকশাল প্রতিষ্ঠা করেছিল। এখনো তারা একই উদ্দেশ্যে একদলীয় বাকশাল প্রতিষ্ঠা করতে চায়। তারা সারা দেশে একই কায়দায় বিএনপির সমাবেশে হামলা করছে। পুরোপুরিভাবে উসকানি দিয়ে সহিংস পরিস্থিতি সৃষ্টি করছে। বিএনপির পক্ষে গণজোয়ার দেখে আওয়ামী লীগ ভয় পেয়েছে। ভয় পেয়েই তারা ভয় দেখাচ্ছে। তিনি গতকাল রোববার (১৮ সেপ্টেম্বর) বিকেলে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির কেন্দ্র ঘোষিত এক বিক্ষোভ সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে এ সব কথা বলেন।

সমাবেশ থেকে নগর বিএনপি’র আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন আওয়ামী লীগের জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান প্রার্থীর বিজয়ের জন্য দোয়া- মোনাজাত করায় চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের বিরুদ্ধে বিভাগীয় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়ার দাবিও করেছেন। গতকাল নাসিমন ভবনস্থ দলীয় কার্যালয়ের মাঠে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় নগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাসেম বক্কর বলেন, ৬৪ জেলায় প্রশাসক লীগের নেতা জেলা প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। পুলিশ আর প্রশাসন লীগের সহযোগিতায় বিনা ভোটের সরকার ক্ষমতায় টিকে আছে। নগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মো. কামরুল ইসলামের সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন যুগ্ম আহবায়ক শফিকুর রহমান স্বপন, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, মো. শাহ আলম, ইসকান্দর মির্জা, আবদুল মান্নান। উপস্থিত ছিলেন এম এ আজিজ, মোহাম্মদ মিয়া ভোলা, এড. আবদুস সাত্তার, সৈয়দ আজম উদ্দীন, এস এম সাইফুল আলম, নাজিমুর রহমান, কাজী বেলাল উদ্দিন, জয়নাল আবেদীন জিয়া, হাজী মো. আলী, মাহবুব আলম, নিয়াজ মো. খান, অধ্যাপক নুরুল আলম রাজু, এস এম আবুল ফয়েজ, আহমেদুল আলম চৌধুরী রাসেল, জাহাঙ্গীর আলম দুলাল, আবুল হাশেম, আনোয়ার হোসেন লিপু, মন্‌জুর আলম চৌধুরী মন্‌জু, নগর যুবদলের সভাপতি মোশাররফ হোসেন দিপ্তী।
উত্তর জেলা বিএনপি : বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম বলেছেন, চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক একজন প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী হয়ে আওয়ামী লীগের নেতাদের মতো যে ভাবে বক্তব্য দিয়েছেন, তা তিনি সরকারি চাকরিবিধি লঙ্ঘন করেছেন। তাকে বলব, যদি রাজনীতি করতে চান তাহলে প্রজাতন্ত্রের চাকরি ছেড়ে রাজনীতিতে আসুন। গতকাল সকালে নগরের নাসিমন ভবনস্থ দলীয় কার্যালয়ের মাঠে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির তিনি বক্তব্যে এ সব কথা বলেন। উত্তর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক অধ্যাপক ইউনুছ চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও যুগ্ম আহ্বায়ক কাজী মো. সালাহ উদ্দীনের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন এম এ হালিম, ছালাউদ্দীন, নুরুল আমিন, নুর মোহাম্মদ, নুরুল আমিন চেয়ারম্যান, সরোয়ার আলমগীর, জসিম উদ্দীন সিকদার, আযম খান, এড. আবু তাহের, জসিম উদ্দীন চৌধুরী, শাহিদুল ইসলাম চৌধুরী, আবু আহমেদ হাসনাত, জয়নাল আবেদিন দুলাল, জাকের হোসেন, দিদারুল আলম মিয়াজী।
দক্ষিণ জেলা বিএনপি : চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি জাফরুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, সারা দেশে জনগণ যখন স্বতঃস্ফূর্ত বিএনপি’র কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করছে ঠিক তখনই জনবিচ্ছিন্ন সরকার পুলিশ প্রশাসন ও তাদের নিজস্ব ক্যাডার বাহিনীকে ব্যবহার করে রক্তে রঞ্জিত করছে রাজপথ। তারই ধারাবাহিকতায় রক্ষা পাচ্ছেন না বিএনপি’র সিনিয়র নেতৃবৃন্দ থেকে তৃণমূলের কর্মীরা পর্যন্ত।
নগরের দোস্ত বিল্ডিংস্থ দলীয় কার্যালয়ে গতকাল বিকেলে দক্ষিণ জেলা বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ সব কথা বলেন তিনি। সংগঠনের আহ্বায়ক আবু সুফিয়ানের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন আব্দুল গাফ্‌ফার চৌধুরী, খোরশেদুল হক চৌধুরী, লায়ন এম হেলাল উদ্দিন, হাজী মুহাম্মদ ইসহাক, মফজল আহমদ চৌধুরী, নুরুল কবির, হাজী ওসমান, দক্ষিণ জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শফিকুল ইসলাম রাহী ও দক্ষিণ জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি মো. শহীদুল আলম শহীদ।
নগর যুবদল : ঢাকাসহ সারাদেশে বিএনপির শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে আওয়ামী লীগের ‘হামলা’য় কেন্দ্রীয় যুবদলের সাবেক সভাপতি ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু এবং বিএনপির কেন্দ্রীয় সদস্য তাবিথ আউয়াল সহ অন্যান্য নেতা-কর্মীদের আহত হওয়ার প্রতিবাদে গতকাল নগরে বিক্ষোভ মিছিল করেছে মহানগর যুবদল। কাজীর দেউড়ি মোড় থেকে নাসিমন ভবনস্থ দলীয় কার্যালয় পর্যন্ত এ মিছিল হয়েছে। বিক্ষোভ মিছিল পূর্ব সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে নগর যুবদলের সভাপতি মোশাররফ হোসেন দীপ্তি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার গণবিক্ষোভের ভয়ে বিরোধী দলের গণতান্ত্রিক কর্মসূচির ওপর বন্দুকের ভাষা ব্যবহার করছে।
অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন যুবদল নেতা নূর আহমদ গুড্ডু, এম এ রাজ্জাক, ফজলুল হক সুমন, আবদুল করিম, মোহাম্মদ মুছা, মিয়া মো. হারুন, হায়দার আলী চৌধুরী, নাছির উদ্দিন চৌধুরী নাসিম, মুজিবুর রহমান, মোহাম্মদ আলী সাকী, মোশাররফ হোসাইন, মো. তাজুল ইসলাম, আবদুল হামিদ পিন্টু, সেলিম উদ্দিন রাসেল, এমদাদুল হক বাদশা, হেলাল হোসেন, গুলজার হোসেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধসড়ক দুর্ঘটনায় শিশুসহ নিহত ২
পরবর্তী নিবন্ধ২১ শতকের অতুলনীয় শেষকৃত্য