ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনে ২৩৭ আসনে প্রার্থীদের সম্ভাব্য প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেছে বিএনপি; যাতে দলের সর্বোচ্চ ফোরাম স্থায়ী কমিটির ১৪ জনের মধ্যে প্রথম পর্যায়ে মহাসচিবসহ ১০ জনের নাম রয়েছে। গতকাল গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ তালিকা প্রকাশ করেন। আগামী নির্বাচনে দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া তিন আসন থেকে নির্বাচন করবেন বলে ঘোষণা দেন মির্জা ফখরুল। একমাত্র তিনিই একাধিক আসন থেকে নির্বাচন করবেন। দিনাজপুর–৩, বগুড়া–৭ ও ফেনী–১ আসনে প্রার্থী হয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। আর দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান প্রথমবারের মতো নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন বগুড়া–৬ আসন থেকে। অপরদিকে মহাসচিব ও স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা ফখরুল প্রার্থী হবেন ঠাকুরগাঁও–১ আসনে। খবর বিডিনিউজের।
দলের জ্যেষ্ঠ ও কেন্দ্রীয় নেতাদেরও বড় অংশ প্রার্থী হচ্ছেন আগামী ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে। দলের সর্বোচ্চ ফোরাম স্থায়ী কমিটির ১৪ সদস্যদের মধ্যে আরো নয়জন প্রার্থী হচ্ছেন তাদের আসনগুলোতে। তারা হলেন কুমিল্লা–১ আসনে খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ঢাকা–৮ আসনে মির্জা আব্বাস, ঢাকা–৩ আসনে গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নরসিংদী–২ আসনে আবদুল মঈন খান, চট্টগ্রাম–১০ আসনে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, কঙবাজার–১ আসনে সালাহউদ্দিন আহমদ, সিরাজগঞ্জ–২ আসনে ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, ভোলা–৩ আসনে হাফিজ উদ্দিন আহমেদ ও দিনাজপুর–৬ আসনে এজেডএম জাহিদ হোসেন।
তবে বর্ষীয়ান নেতা ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকার, রফিকুল ইসলাম মিয়া ও নজরুল ইসলাম খানের পাশাপাশি সেলিমা রহমান প্রথম দফার তালিকায় নেই। এর মধ্যে জমিরউদ্দিন সরকারের ছেলে ব্যারিস্টার মুহম্মদ নওশাদ জমির পঞ্চগড়–১ আসন থেকে প্রার্থী হচ্ছেন।
দলের ২১ জন ভাইস চেয়ারম্যানের মধ্যে প্রার্থী হচ্ছেন সাতজন। তারা হলেন পটুয়াখালী–১ আসনে আলতাফ হোসেন চৌধুরী, নোয়াখালী–৩ আসনে বরকত উল্লাহ বুলু, নোয়াখালী–৪ আসনে মোহাম্মদ শাহজাহান, ফেনী–৩ আসনে আবদুল আউয়াল মিন্টু, মাগুরা–২ আসনে নিতাই রায় চৌধুরী, কুমিল্লা–৩ আসনে কাজী শাহ মোফাজ্জল হোসাইন কায়কোবাদ ও টাঙ্গাইল–৮ আসনে আহমেদ আজম খান।
আলোচনায় থাকা ভাইস চেয়ারম্যানদের মধ্যে শামসুজ্জামান দুদু ও আসাদুজ্জামান রিপন বাদ পড়েছেন প্রার্থী তালিকা থেকে। চেয়ারপারসনের ৮১ জন উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্যদের মধ্যে দলের প্রার্থী তালিকায় রয়েছেন ২২ জন। তারা হলেন কুমিল্লা–৬ আসনে মনিরুর হক চৌধুরী, ঢাকা–২ আসনে আমান উল্লাহ আমান, নোয়াখালী–১ আসনে মাহবুব উদ্দিন খোকন, নোয়াখালী–৪ আসনে জয়নুল আবদিন ফারুক, বরিশাল–১ আসনে জহির উদ্দিন স্বপন, বরিশাল–৫ আসনে মজিবুর রহমান সারোয়ার, নেত্রকোনা–৪ আসনে লুৎফুজ্জামান বাবর, কুড়িগ্রাম–৩ আসনে তাজভীর উল ইসলাম, পাবনা–৪ আসনে হাবিবুর রহমান হাবিব, ব্রাক্ষণবাড়ীয়া–৪ আসনে মুশফিকুর রহমান, মানিকগঞ্জ–৩ আসনে আফরোজা খান রিতা, মানিকগঞ্জ–২ আসনে মঈনুল ইসলাম খান, সিলেট–১ আসনে খন্দকার আবদুল মুক্তাদির, সিলেট–২ আসনে তাহমিনা রশদীর লুনা, লক্ষ্মীপুর–২ আসনে আবুল খায়ের ভুঁইয়া, সিলেট–৬ আসনে এনামুল হক চৌধুরী, টাঙ্গাইল–২ আসনে আবদুস সালাম পিন্টু, ফেনী–২ আসনে জয়নাল আবেদীন (ভিপি জয়নাল), কিশোরগঞ্জ–৪ আসনে ফজলুর রহমান, মৌলভীবাজার–৩ আসনে নাসের রহমান, চাঁপাইনবাবগঞ্জ–৩ আসনে হারুনুর রশীদ।
আলোচিত কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী দলের মনোনয়ন থেকে বাদ পড়েছেন। আর ছয় যুগ্ম মহাসচিবের মধ্যে তিনজন পেয়েছেন; প্রার্থী তালিকায় নেই হাবিব–উন–নবী খান সোহেল, আবদুস সালাম আজাদ ও হুমায়ুন কবিরের নাম। যুগ্ম মহাসচিবদের মধ্যে নরসিংদী–১ আসনে খায়রুল কবির খোকন, লক্ষ্মীপুর–২ আসনে শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি এবং ময়মনসিংহ–১ আসনে সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স রয়েছেন প্রার্থী তালিকায়।
        











