আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপির সরকার পতনের আন্দোলনের হুমকিতে শেখ হাসিনা ভয় পান না। তাদের আন্দোলনের হুমকি-ধমকিতে জনগণ হাসে। তিনি বলেন, অনেকে বলেছিল এই হবে, সেই হবে; দেশ সংঘাতে যাবে। কিন্তু কিছুই তো হলো না। বিএনপির কথা শুনলে এখন ঘোড়াও হাসে। আমরা জনগণ চাইলে সরকারে আছি, না চাইলে চলে যাব। খবর বাসসের।
ওবায়দুল কাদের গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর তেঁজগাওয়ে সড়ক ও জনপথ প্রকৌশলী সমিতির ৩০তম সম্মেলন উদ্বোধনকালে এ মন্তব্য করেন। আধুনিকতার ছোঁয়ায় বাংলাদেশ এখন উন্নত রাষ্ট্রের সাথে পাল্লা দিয়ে চলছে মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি যদি শান্তিপূর্ণভাবে কিছু করে তাহলে তাদের শান্তিপূর্ণ অবস্থানকে স্বাগত জানাই।
তবে জানমালের ক্ষতি করলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি ডেড ইস্যু উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, এদেশে আর কোনোদিন তত্ত্বাবধায়ক সরকার আসবে না। এই সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। যার প্রমাণ বিগত কয়েকটি নির্বাচনে দেখা গেছে। নির্বাচন কমিশন দেশে স্বাধীনভাবে কাজ করছে। সরকারের পরিবর্তন চাইলে সব দলকে অবশ্যই নির্বাচনে আসতে হবে।
ক্লাইমেট চেঞ্জ এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ পুরো বিশ্বকে বদলে দিয়েছে মন্তব্য করে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, আজ ইউরোপ-আমেরিকায় মন্দা দৃশ্যমান। করোনা এখনও ছাড়েনি। কবে যাবে, কেউ জানে না। চীন এখনও এর ফলভোগ করছে। এসবের রেশ আমাদের এখানেও চলছে। তিনি বলেন, তারপরও এখানে একজন রূপকার আছেন। সেই রূপকারের সঠিক সময়ে সঠিক ও সময়োপযোগী নেতৃত্বে শেখ হাসিনা আছেন। তিনি আছেন বলেই বিনা পয়সায় করোনার ভ্যাক্সিন দিয়েছি। এ বিশ্ব সংকটেও বাংলাদেশ ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে এবং ঘুরে দাঁড়াবে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, রপ্তানি আয় বেড়েছে; রেমিটেন্সও বাড়তে শুরু করেছে। এখনও রিজার্ভ ৩৪ বিলিয়ন; যেটা দিয়ে ৫ মাসের আমদানি ব্যয় মেটাতে পারবো। মেডিকেল চেক আপের জন্য গিয়েছিলাম সিঙ্গাপুরে। সেখানে আমাদের রাষ্ট্রদূত পাকিস্তানি রাষ্ট্রদূতের রেফারেন্স দিয়ে জানান, ওই দেশটির রিজার্ভ ৫ বিলিয়ন ডলারের নিচে। দেশে আসার পথে শুনলাম হাফ বিলিয়নের নিচে নেমে গেছে। শ্রীলঙ্কার মতো অবস্থা হয়েছে পাকিস্তানেরও। কিন্তু শেখ হাসিনার সঠিক নেতৃত্বে বাংলাদেশ দুর্বার গতিতে এগিয়ে চলেছে।
সড়ক ও জনপথ প্রকৌশলী সমিতির সভাপতি সৈয়দ মঈনুল হাসানের সভাপতিত্বে সম্মেলনে আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আব্দুস সবুর, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এবিএম আমিন উল্লাহ নুরী, সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মো. ইসহাক, সড়ক ও জনপথ প্রকৌশলী সমিতির সাধারণ সম্পাদক অমিত কুমার চক্রবর্তী প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।