বিএনপির আন্দোলনের যে বেলুন ফুলেছিল, পরদিনই তা ফুটে গেছে

উত্তর জেলা আ. লীগের আলোচনা সভায় তথ্যমন্ত্রী

আজাদী প্রতিবেদন | শুক্রবার , ১৮ আগস্ট, ২০২৩ at ৭:৫৪ পূর্বাহ্ণ

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তথ্য ও সমপ্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এমপি বলেছেন, বিএনপির সাথে এখন আর কোন বিদেশি শক্তি নেই। তারা মহাসমাবেশের ডাক দিয়েছিল, অর্থাৎ আন্দোলনের বেলুনটা ফুলিয়েছিল। পরের দিন আবার ঢাকার প্রবেশমুখ অবরোধ দিয়েছিল, এরপর দেখা গেল বিএনপির আন্দোলনের যে বেলুন ফুলেছিল তা ফুটে গেছে। বিএনপিও বুঝতে পেরেছে শেখ হাসিনাকে সরানো তাদের পক্ষে সম্ভব নয়, সেজন্য দেখেন না বেলুন ফুলানোর পর আস্তে আস্তে বাতাস কমে যাচ্ছে। বিএনপি আন্দোলনের বেলুন আর ফুলাতে পারছে না। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রামের এলজিইডি মিলনায়তনে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, আন্দোলনের বেলুন না ফোলার কারণে এখন তাদের লিফলেট বিতরণ আর হাঁটা কর্মসূচি, পদযাত্রা মানেই তো হাঁটা। কয়দিন হাঁটা কর্মসূচি, কয়দিন বসা কর্মসূচি, আবার কয়দিন দৌড়ানো কর্মসূচি দিয়ে তারা কর্মীদের চাঙ্গা রাখার চেষ্টা করছে। তাদের কর্মীরাও জেনে গেছে বিদেশিদের পদলেহন করে তাদের কোন লাভ হয় নাই। বিদেশিরাও তাদের তত্ত্বাবধায়ক সরকার, তথাকথিত নিরপেক্ষ সরকার, এগুলোর প্রতি কোন সমর্থন জানায় নাই। সেজন্য বিএনপি আন্দোলনের বেলুনের আর ফুলাতে পারছে না। একটু বাতাস ঢুকে, আবার বের হয়ে যায়, এই হচ্ছে বিএনপির দশা। আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান এম এ সালাম।

তারেক রহমান বিএনপিকে তার একটি লাঠিয়াল বাহিনী হিসেবে ব্যবহার করতে চায় উল্লেখ করে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, তাদের নেতাদের কোন নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে দিতে চান না তিনি। আগামী নির্বাচনের পর বুঝতে পারবে, এই লাঠিয়াল বাহিনী ছোট হয়ে গেছে। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের নীতি হচ্ছে, যতদিন তিনি ইলেকশন করতে পারবেন না ততদিন বিএনপির কেউ ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার পদেও নির্বাচন করতে পারবেন না। বিএনপি এখন আবার ষড়যন্ত্রের পথ বেছে নিয়েছে। তারা বুঝতে পেরেছেন নির্বাচনে গেলে তাদের কোনো সম্ভাবনা নাই, এজন্য নির্বাচন বানচাল করার পথ বেছে নিয়েছেন তারা।

তিনি বলেন, আগামী নির্বাচনে বিএনপির নেতৃত্ব বুঝতে পারবে তারা নির্বাচন বর্জন করলেও বিএনপির নেতারা অনেকেই নির্বাচন বর্জন করবেন না। নির্বাচনে জনগণের অংশগ্রহণই হচ্ছে মুখ্য, নির্বাচনে যদি মানুষ ব্যাপকভাবে অংশগ্রহণ করে সেখানে কোন দল অংশগ্রহণ করলো সেটি মুখ্য নয়। সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে বিএনপি বর্জন করেছিল, তাদের কোন নেতাকে ইলেকশন করতে দেয় নাই, এরপরও অনেকে করেছে এবং ৫০ শতাংশের বেশি ভোট পড়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে ৩০৪০ শতাংশ ভোট কাস্ট হয়। আমাদের এখানে নির্বাচন বিরোধিতা এবং এত অপপ্রচারের পরও ৫০ শতাংশের বেশি ভোট পড়েছে। আগামী নির্বাচনেও জনগণ অংশগ্রহণ করছে কিনা সেটি হচ্ছে মুখ্য, সেখানে বিএনপি নেতারা কিংবা বিএনপি অংশগ্রহণ করলো কিনা সেটি মুখ্য বিষয় নয়। কেউ নির্বাচনে আসুক বা না আসুক জনগণের অংশগ্রহণে সুষ্ঠু ও অবাধ সুন্দর আগামী নির্বাচন হবে এবং জননেত্রী শেখ হাসিনা পরপর চারবার প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হবেন এই দেশে।

সভায় আলোচক ছিলেন সাধারণ সম্পাদক শেখ মো. আতাউর রহমান। যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দিন শাহর সঞ্চালনায় ষোলশহরস্থ সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সহ সভাপতি অধ্যাপক মো. মঈনুদ্দিন, মো. আবুল কালাম আজাদ, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এটিএম পেয়ারুল ইসলাম, আফতাব উদ্দিন চৌধুরী, স্বজন কুমার তালুকদার, আবুল কাশেম চিশতি, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দেবাশীষ পালিত, সাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম তালুকদার, উপদেষ্টা এড এম এ নাসের চৌধুরী, সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য মো. আলী শাহ, শাহজাহান সিকদার, ইদ্রিচ আজগর, আলাউদ্দিন সাবেরী, প্রদীপ চক্রবত্তী, নাজিম উদ্দিন তালুকদার, ইঞ্জিনিয়ার মেজবাহ উল আলম লাভলু, আবু তালেব, আসম ইয়াছিন মাহমুদ, জেবুন্নেছা জেসী, কার্যনির্বাহী সদস্য বেদারুল আলম চৌধুরী বেদার, ফোরকান উদ্দিন আহমেদ, ফেরদৌস হোসেন আরিফ, সরোয়ার হাসান জামিল, মো. সেলিম উদ্দিন, ডা. নুর উদ্দিন জাহেদ, আখতার হোসেন খান, গোলাম রব্বানী, মহিউদ্দিন আহমেদ মঞ্জু, সাহেদ সরোয়ার শামীম, হাসিবুন সুহাদ চৌধুরী সাকিব, মনজুর মোরশেদ ফিরোজ, সহযোগী সংগঠনের সভাপতি সাধারণ সম্পাদকদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন দিলোয়ারা ইউসুফ, শফিকুল ইসলাম, এড বাসন্তী প্রভা পালিত, এরাদুল হক ভুট্টো, মো. শাহজাহান, সেলিম সাজ্জাদ, এড. জুবাঈদা সরোয়ার নিপা, নাছির উদ্দিন রিয়াজ, হারুন অর রশীদ, ফয়েজ উদ্দিন বাদল, সাদাত আনোয়ার সাদী, রূপক দেব অপু, সাবরিনা চৌধুরী, জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি তানভীর হোসেন তপু, সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম।

পূর্ববর্তী নিবন্ধমানুষের উন্নত জীবনের জন্যই পেনশন স্কিম : প্রধানমন্ত্রী
পরবর্তী নিবন্ধনিবন্ধন যেভাবে