বিআরটিএ চট্টগ্রাম আঞ্চলিক কার্যালয়ের অভ্যন্তরে গতকাল দালাল ধরতে সাঁড়াশি অভিযান পরিচালনা করে র্যাবের একটি বিশেষ টিম। সাথে ছিলেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জিসান বিন মাজেদ।
র্যাব সূত্র জানা গেছে, রোববার সকাল ১০টা থেকে দুপুর দুইটা পর্যন্ত বিআরটিএ চট্টগ্রাম আঞ্চলিক কার্যালয়ে অভিযান চালিয়ে ৩১ জনকে আটক করে র্যাব। ছদ্মবেশে তাদের আটক করা হলেও পরে জিজ্ঞাসাবাদে অবৈধ কাজে সম্পৃক্ততা না পাওয়ায় ৯ জনকে ছেড়ে দেয়া হয়। অপর ২০ জনকে ১ লক্ষ ৬০ হাজার ৫শ টাকা অর্থদণ্ড ও একজনকে তিনদিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন অভিযানে নেতৃত্ব দেয়া নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জিসান বিন মাজেদ। এসময় এক দালালকে মুচলেকা নিয়ে বিআরটিএ’র একজন সহকারী পরিচালকের জিম্মায় মুক্তি দেয়া হয়। দণ্ডপ্রাপ্তরা হলো, সায়েদ, মো. জসিম, মোহাম্মদ রাসেদ, মোহাম্মদ তৈয়ব আলী, মোহাম্মদ ফারুক, মো. মোজাম্মেল হক, মো. মিনহাজ উদ্দিন, অমল বিশ্বাস, আমিনুল ইসলাম, আলী আজম, মোহাম্মদ মিজানুর রহমান, মো. ইসমাইল, বিজয় নাথ, মো. কাসেম চৌধুরী, মোহাম্মদ সেলিম, মো. শাহাদাত হোসেন, মো. ফারুক, মোহাম্মদ শাফায়েত, সাজ্জাদ হোসেন, মোখছেদুল আলম ও মো. আকবর হোসেন। র্যাবের দাবি, দূর-দূরান্ত থেকে আসা সাধারণ গ্রাহকদের বিভিন্ন প্রয়োজন শিক্ষানবীশ ড্রাইভিং লাইসেন্স ইস্যু, ড্রাইভিং লাইসেন্স নবায়ন, মোটরযানের রেজিস্ট্রেশন, মালিকানা বদলি, রুট পারমিট ইস্যু ও নবায়ন, ফিটনেস নবায়ন করার নাম করে এক শ্রেণির দালাল ও প্রতারক চক্র সরকার ঘোষিত নির্ধারিত ফি এর অতিরিক্ত অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে।
অভিযানে নেতৃত্ব দেয়া র্যাব-৭ এর উপ-পরিচালক মেজর মেহেদী হাসান বলেন, র্যাব চট্টগ্রাম বিআরটিএতে সাঁড়াশি অভিযান চালিয়েছে। এখানে ছদ্মবেশে অনেক দালালকে আটক করা হয়। তন্মধ্যে ২০ জনকে জরিমানা ও একজনকে তিন দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। তিনি জানান, বিআরটিএতে সেবা নিতে আসা লোকজন থেকে কৌশলে টাকা হাতিয়ে নেন এসব দালাল। সেবাগ্রহীতাদের ভুল তথ্য দিয়ে হয়রানি করে অতিরিক্ত টাকা হাতিয়ে নেয় দালালরা।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জিসান বিন মাজেদ দৈনিক আজাদীকে বলেন, ‘বিআরটিএতে অভিযানে ২০ জনকে অর্থদণ্ড দেয়া হয়। একজনকে ৩ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়।’