সেবা প্রদানে গ্রাহককে হয়রানি ও দালালদের দৌরাত্মের অভিযোগের প্রেক্ষিতে বিআরটিএ চট্টগ্রাম অফিসে অভিযান পরিচালনা করেছে দুদক। এ সময় চারজন দালাল ও তিনজন বিআরটিএ কর্মচারী হাতেনাতে ধরা পড়ে। এরমধ্যে চার দালালকে ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে পুলিশের হাতে সোপর্দ করা হয় এবং তিন বিআরটিএ কর্মচারীর সম্পৃক্ততার বিষয়টি কর্তৃপক্ষকে অবহিত করে দুদক টিম। কর্তৃপক্ষ তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন মর্মে দুদক টিমকে জানিয়েছে।
গতকাল দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয় চট্টগ্রাম–১ এর সহকারী পরিচালক এনামুল হকের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি এনফোর্সমেন্ট টিম এ অভিযান পরিচালনা করে। ছদ্মবেশে গ্রাহক হিসেবে সেবা নিতে গেলে দালালদের উপস্থিতি নজরে আসে উল্লেখ করে দুদক কর্মকর্তা এনামুল হক আজাদীকে বলেন, ছদ্মবেশে আমাদের টিম সেবা নিতে গেলে দালালদের উপস্থিতি নজরে পড়ে। এ সময় চার জন দালাল ও তিন জন কর্মচারী হাতেনাতে ধরা পড়ে। তাদের সাথে সরাসরি বিভিন্ন সেবাগ্রহীর সাথে অস্বাভাবিক আর্থিক লেনদেনের প্রমাণ পাওয়া গেছে। এনফোর্সমেন্ট টিম তাদেরকে বিআরটিএ’র উপপরিচালক সৈয়দ আইনুল হুদা চৌধুরীর কাছে উপস্থিত করলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে চারজন দালালকে পুলিশের হাতে সোপর্দ করা হয় এবং বিআরটিএ অফিসের কর্মচারীদের সম্পৃক্ততার বিষয়টি কর্তৃপক্ষকে অবহিত করলে কর্তৃপক্ষ তাদের বিরুদ্ধে আইনগত বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন মর্মে জানিয়েছেন।
এনামুল হক বলেন, আমাদের কাছে করা অভিযোগে বিআরটিএ অফিসের সহকারী পরিচালক রায়হানা আক্তার অর্থিকে অফিসে পাওয়া যায়নি। উপপরিচালকও তার উপস্থিত না থাকার বিষয়টি জানেন না। তিনি জানিয়েছেন, অর্থি আজকে ছুটি নেননি। অভিযানে বেশ কিছু রেকর্ডপত্র সংগ্রহ করা হয়েছে উল্লেখ করে এনামুল হক জানান, যাচাই বাছাই শেষে কমিশন বরাবর পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।