চসিক মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, নগরের বর্জ্য ব্যবস্থাপনাকে আধুনিক ও পরিবেশবান্ধব করতে বায়েজিদ ও হালিশহরের ট্রেঞ্চিং গ্রাউন্ডকে (টিজি) ধাপে ধাপে আধুনিক ল্যান্ডফিল্ডে রূপান্তর করা হবে। এতে একদিকে পরিবেশ দূষণ কমবে, অন্যদিকে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উৎপাদনের সুযোগ সৃষ্টি হবে।
তিনি গতকাল বুধবার হালিশহর ট্রেঞ্চিং গ্রাউন্ডে পরিদর্শনে আসা দক্ষিণ কোরিয়ার বিশেষজ্ঞ প্রতিনিধিদলকে স্বাগত জানিয়ে এসব কথা বলেন। প্রতিনিধি দলে ছিলেন মেজর নাসিম, এডভোকেট তারানুম বিনতে নাসিম,চংওয়াং পার্ক, নোফিল তামিম পার্ক, আন সুংগেউন, হান ডং গু, লি সাং হুন, জং হোয়ান ইল। প্রতিনিধি দলটি হালিশহর ও বায়েজিদের ট্রেঞ্চিং গ্রাউন্ড আধুনিক ল্যান্ডফিল্ডে রূপান্তরের পরিকল্পনায় সার্কুলার ইকোনমি পাইলট প্রজেক্ট প্রস্তাব করেছে, যা ৩জ (জবফঁপব, জবঁংব, জবপুপষব) নীতির ভিত্তিতে টেকসই ল্যান্ডফিল্ড রিক্লেমেশন সমাধান দেবে।মেয়র বলেন, প্রতিদিন বিপুল পরিমাণ বর্জ্য উৎপন্ন হয়। এ বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় আধুনিক প্রযুক্তি যুক্ত করা ছাড়া বিকল্প নেই। উন্নত নগর গড়তে হলে পরিবেশবান্ধব বর্জ্য ব্যবস্থাপনা জরুরি।মেয়র জানান, দক্ষিণ কোরিয়ার সহযোগিতায় হালিশহর ও বায়েজিদের ট্রেঞ্চিং গ্রাউন্ড উন্নত প্রযুক্তির মাধ্যমে আধুনিক ল্যান্ডফিল্ডে রূপান্তরের প্রাথমিক আলোচনা শুরু হয়েছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে নগরবাসী টেকসই বর্জ্য ব্যবস্থাপনার সুফল ভোগ করবেন।
তিনি বলেন, চট্টগ্রামকে আমরা শুধু সুন্দর নগর হিসেবেই নয়, টেকসই ও আধুনিক নগর হিসেবেও গড়ে তুলতে চাই। এজন্য উন্নত দেশগুলোর অভিজ্ঞতা ও প্রযুক্তিকে কাজে লাগাতে হবে। তিনি প্রতিনিধিদলকে ধন্যবাদ জানিয়ে চট্টগ্রামের উন্নয়নে দীর্ঘমেয়াদি সহযোগিতা অব্যাহত রাখার আহ্বান জানান। সভায় উপস্থিত ছিলেন চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম,প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা কমান্ডার ইখতিয়ার উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।