বায়েজিদ বোস্তামী থানার শেরশাহ এলাকায় এক যুবককে ছুরিকাঘাত করে পালানোর সময় ফয়সাল আলম ওরফে আলভী (২৩) নামে এক ছিনতাইকারীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে অভিযান চালিয়ে এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত রবিউল ইসলাম ওরফে হৃদয় (১৮) নামে আরও একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। গত শনিবার (২৩ এপ্রিল) রাত ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। গ্রেপ্তার আলভী নগরীর কোতোয়ালীর নন্দনকানন ২ নম্বর গলি নুরুল ইসলাম সওদাগর বাড়ির আব্দুল মাহবুদের ছেলে এবং হৃদয় বায়েজিদ বোস্তামীর হারুন কোম্পানির বাড়ির মৃত মো. জাকিরের ছেলে।
বায়েজিদ বোস্তামি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুজ্জামান আজাদীকে জানান, শরিফের স্ত্রী নগরীর শেরশাহ মোড়ে একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করেন। শনিবার রাত ৯টার দিকে শরিফ তার স্ত্রীকে কারখানা থেকে বাসায় নিতে গিয়েছিলেন। কারখানার অদূরে তিনি স্ত্রীর অপেক্ষায় দাঁড়িয়েছিলেন। হাতে মোবাইল ছিল। এ সময় ফয়সাল ও রবিউল এসে তার থেকে মোবাইল ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে।
শরিফ চিৎকার দিলে তার বুকের বামপাশে ও বাম পায়ের উরুতে ছুরি দিয়ে মোট পাঁচটি আঘাত করে। এরপর মোবাইল নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় শরিফ চিৎকার করতে থাকলে টহল পুলিশ ফয়সালকে দেখে ধাওয়া দেয় এবং একপর্যায়ে ধরে ফেলে। তার কাছে রক্তমাখা ছোরা পাওয়া যায়। রবিউল পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। ফয়সালের দেয়া তথ্যে রাত সাড়ে ১১টার দিকে নগরীর রউফাবাদ এলাকায় অভিযান চালিয়ে রবিউলকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ওসি কামরুজ্জামান আরো বলেন, ফয়সালের পোশাকে রক্তের দাগ ছিল। রবিউল রউফাবাদে গিয়ে পোশাক থেকে রক্ত ধুয়ে পরিস্কারের চেষ্টা করে। এরপরও তার পোশাকে রক্তের দাগ পাওয়া যায়। উভয়ই পেশাদার ছিনতাইকারী। ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে তারা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। রবিউলের বিরুদ্ধে বায়েজিদ থানায় ছিনতাইয়ের মামলা আছে। ছুরিকাঘাতে আহত শরিফ বর্তমানে চমেক হাসপাতালের ২৪ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন আছেন।