ঈদুল আজহার পর থেকে উত্তর চট্টগ্রামের আড়াই শতাধিক নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন উত্তর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক গোলাম আকবর খোন্দকার। তিনি বলেন, আমাদের নেতাকর্মীরা গায়েবি মামলার কারণে গ্রামে থাকতে পারছেন না। তাদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে তল্লাশির নামে হয়রানি করা হচ্ছে। যাকে পাচ্ছে তাকে পূর্বের মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে জেল হাজতে পাঠাচ্ছে। সাদা পোশাকদারি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা মাইক্রোযোগে চট্টগ্রাম শহরে বসবাসরত নেতাকর্মীদের বাসায় তল্লাশি চালাচ্ছে, হয়রানি করছে। গতকাল শনিবার সকালে নাসিম ভবনস্থ দলীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে এসব কথা বলেন তিনি। সাম্প্রতিক বিভিন্ন ইস্যুতে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। বিএনপি চেয়ারপার্সনের এ উপদেষ্টা বলেন, ২০১৪ সাল থেকে এ পর্যন্ত উত্তর চট্টগ্রামের বিভিন্ন থানায় বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে সাড়ে ৯শ মামলা হয়েছে। এসব মামলায় দশ হাজারের বেশি নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়েছে। আমরা অসহায় নেতাকর্মীদের মামলা পরিচালনার জন্য লিগ্যাল এইড কমিটি গঠন করেছি। মিথ্যা ও বানোয়াট অভিযোগের মামলাগুলোর আসামিদের এই কমিটির মাধ্যমে বিনামূল্যে সেবা দেওয়া হবে।
সাবেক রাষ্ট্রদূত গোলাম আকবর খোন্দকার বলেন, প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী হয়েও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কিছু কর্মকর্তা অতি উৎসাহী হয়ে দলীয় কর্মীর মত আচরণ শুরু করেছে। পুলিশ প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী। আইন শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণের অজুহাতে আমাদের দলের নেতাকর্মীদেরকে হামলা–মামলা ও গ্রেপ্তার না করার জন্য তাদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। আমরা তাদের সতর্ক করতে চাই। এ ধারা অব্যাহত থাকলে সামনে আমরা এসব কর্মকর্তা–কর্মচারীদের নামসহ পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে বাধ্য হব।
তিনি বলেন, প্রশাসনের ছত্রছায়ায় ক্ষমতাসীন দলের সন্ত্রাসীরা উত্তর জেলার প্রতিটি উপজেলায় বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে হামলা চালাচ্ছে। দলীয় কর্মসূচি পালনে তারা বাধা দিচ্ছে। বিনা কারণে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহযোগিতায় এসব হামলা করছে। উল্টো তারাই আবার বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা করছে। ফটিকছড়িতে ঈদ পরবর্তী শোভাযাত্রায় হামলা করে অনেক বিএনপি নেতাকর্মীকে আহত করেছে। পরে তারাই আবার বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা করেছে। উত্তর চট্টগ্রামের সব উপজেলায় একই কায়দায় হামলা, মামলা ও গ্রেপ্তারের ঘটনা চালাচ্ছে। সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন, উত্তর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক এম এ হালিম, অধ্যাপক ইউনুছ চৌধুরী, আলহাজ্ব সালাউদ্দিন, নূর মোহাম্মদ, নুরুল আমিন, নুরুল আমিন চেয়ারম্যান, সরোয়ার আলমগীর, ইঞ্জিনিয়ার বেলায়েত হোসেন, কাজী সালাউদ্দিন, সদস্য অধ্যাপক আজম খান, এডভোকেট এম এ তাহের, আবদুল আওয়াল চৌধুরী, অধ্যাপক জসিম চৌধুরী, সাহেদুল ইসলাম চৌধুরী, অধ্যাপক কুতুব উদ্দিন বাহার ও মোহাম্মদ জাকির হোসেন।