বাড়ির উঠানে গৃহবধূর গলাকাটা লাশ

স্বামী ও দুই ননদ পুলিশ হেফাজতে

সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি | বৃহস্পতিবার , ১১ মে, ২০২৩ at ৫:১১ পূর্বাহ্ণ

সীতাকুণ্ডে রোশনি আক্তার সায়মা (২১) নামের এক গৃহবধূর গলা কাটা লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গত মঙ্গলবার রাত ১২টার দিকে উপজেলার মুরাদপুর ইউনিয়নের হাসনাবাদ গ্রামের বেড়িবাঁধ সংলগ্ন এলাকার দেলোয়ার আলমের ঘরের উঠানে তার স্ত্রী সায়মার গলাকাটা লাশ পাওয়া যায়। এ ঘটনায় দেলোয়ার ও তার দুই বোনকে জিজ্ঞাসাবাদের পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার রাত ১২টার দিকে ডাকাতি করতে এসে গৃহবধূ রোশনি আক্তারকে হত্যা করা হয়েছে বলে তার ননদ ও শ্বশুরশাশুড়ি চিৎকার করতে থাকেন। এ সময় আশপাশের লোকজন এসে ঘর থেকে প্রায় দুইশ গজ দূরে খড়ের গাদার পাশে গৃহবধূর লাশ দেখতে পায়। স্থানীয় চেয়ারম্যানের মাধ্যমে খবর পেয়ে সীতাকুণ্ড থানার পুলিশ লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরির পর ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনাকে পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড বলে অভিযোগ নিহত সায়মার বাবার বাড়ির সদস্যদের।

যৌতুকের জন্য শ্বশুর শাশুড়ি ও দুই ননদ মিলে এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে বলে দাবি করেন নিহত সাইমার দাদী, বাবা ও মা। তারা বলেন, রোশনি আক্তারকে তার শ্বশুরশাশুড়ি, ননদরা প্রায় সময় যৌতুকের জন্য নির্যাতন করত। আমাদের পক্ষে যতটুকু দেওয়া সম্ভব আমরা সব সময় দেওয়ার চেষ্টা করেছি। কিন্তু তাদের চাহিদার কোনো শেষ ছিল না। তাদের নির্যাতনের কথা আমরা মেয়ের জামাইকে জানালে, সে তখন জবাব দেয়এরকম নির্যাতন চলবে। আমার কিছু করার নাই।

মুরাদপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রেজাউল করিম বাহার বলেন, এই হত্যাকাণ্ডের সাথে ডাকাতের কোনো সম্পর্ক আছে বলে আমার মনে হয় না। এটি পারিবারিক অথবা অন্য কোন কারণে হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।

সীতাকুণ্ড মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তোফায়েল আহমেদ বলেন, প্রাথমিকভাবে এটিকে একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড বলে মনে হচ্ছে। ঘটনাস্থল থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত একটি ছুরি ও নিহতের ননদের রক্তমাখা জামা উদ্ধার করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহতের স্বামী ও দুই ননদ পুলিশ হেফাজতে রয়েছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধআট দিনের রিমান্ডে ইমরান
পরবর্তী নিবন্ধপ্রথমবার থেরাপিউটিক প্লাজমা এক্সচেঞ্জ