বাড়তি শয্যায় রোগী ভর্তি শুরু

বিআইটিআইডি হাসপাতাল।। চালুর অপেক্ষায় ৫ শয্যার আইসিইউ

আজাদী প্রতিবেদন | শুক্রবার , ২ জুলাই, ২০২১ at ৬:২৩ পূর্বাহ্ণ

বাড়তি শয্যায় রোগী ভর্তি শুরু হয়েছে ফৌজদারহাটের বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকসাস ডিজিজেস (বিআইটিআইডি) হাসপাতালে। ৩২ শয্যার স্থলে গতকাল থেকে ৫০ শয্যায় রোগী ভর্তি শুরু হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন বিআইটিআইডি হাসপাতালের করোনা টিমের ফোকাল পারসন ডা. মামুনুর রশীদ। করোনা ডেডিকেটেড এ হাসপাতালে শুরু থেকে ৩২ শয্যায় রোগীর চিকিৎসা সেবা চলছিল।
কিন্তু সমপ্রতি বেশ কয়দিন ধরে রোগীর চাপ অস্বাভাবিক ভাবে বেড়েছে এ হাসপাতালে। ৩২ শয্যায় যেন ঠাঁই নেই অবস্থা। রোগীর চাপ সামাল দিতে শেষ পর্যন্ত শয্যা সংখ্যা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। শয্যা সংখ্যা ৩২ থেকে বাড়িয়ে ৫০ শয্যায় উন্নীত করার সিদ্ধান্তের
কথা জানান বিআইটিআইডি হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. বখতিয়ার আলম। কয়েকদিনের মধ্যেই বাড়তি শয্যায় রোগী ভর্তি শুরুর কথা জানিয়েছিলেন তিনি। অবশেষে বৃহস্পতিবার (গতকাল) থেকে বাড়তি শয্যাগুলোতেও রোগী ভর্তি শুরুর কথা জানায় হাসপাতাল সংশ্লিষ্টরা।
চালুর অপেক্ষায় ৫ শয্যার আইসিইউ : করোনা ডেডিকেটেড এ হাসপাতালে ৫ শয্যার আইসিইউ স্থাপনের কাজ শুরু হয় গত এপ্রিলে। বুধবার এসব আইসিইউ শয্যা স্থাপনের কাজ শেষ হয়েছে বলে জানান বিআইটিআইডির উপ-পরিচালক ডা. বখতিয়ার আলম। তবে আইসিইউ বসলেও আইসিইউর জন্য ভেন্টিলেটর এখনো পাওয়া যায়নি বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে। সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, আইসিইউ পরিচালনায় বিদ্যুতের বিকল্প হিসেবে জেনারেটর অপরিহার্য। জেনারেটরও এখনো পাওয়া যায়নি। তাছাড়া আইসিইউ পরিচালনায় প্রশিক্ষিত ডাক্তার-নার্স প্রয়োজন। ডাক্তার-নার্সদের প্রশিক্ষণ কার্যক্রমও শেষ হয়নি। তবে এর মাঝেই আইসিইউ পরিচালনায় ইনচার্জের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে হাসপাতালটির করোনা টিমের ফোকাল পারসন ডা. মামুনুর রশীদকে। ডাক্তার-নার্সদের প্রশিক্ষণ কার্যক্রম শুরু হয়েছে জানিয়ে ডা. মামুনুর রশীদ বলেন, আমাদের মোট ১৮ জন ডাক্তার ও ৯ জন নার্সকে আমরা প্রশিক্ষণ দিচ্ছি। চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের আইসিইউ বিভাগে বৃহস্পতিবার থেকে তাদের প্রশিক্ষণ শুরু হয়েছে। যদিও আইসিইউতে রোগীরা এখন থেকে হাই ফ্লো ন্যাসাল ক্যানোলায় উচ্চ মাত্রায় অক্সিজেন সেবা পাবেন বলে জানান তিনি।
ভেন্টিলেটর ও জেনারেটরের বিষয়ে হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. বখতিয়ার আলম বলেন, আমরা ঢাকায় লিখেছি। কিন্তু এখনো ভেন্টিলেটর পাইনি। হয়তো পেয়ে যাবো। জেনারেটরও কিছুদিনের মধ্যে পাবো বলে আশা করছি। অবশ্য, ভেন্টিলেটর বা আইসিইউ পূর্ণাঙ্গরুপে চালু করা না গেলেও এতটুকুতে হাই ফ্লো ন্যাসাল ক্যানোলার মাধ্যমে রোগীদের উচ্চ মাত্রায় অক্সিজেন সেবা দেয়া সম্ভব বলে জানান তিনি। আর ভেন্টিলেটর ও জেনারেটর পাওয়া গেলে আইসিইউর পূর্ণাঙ্গ সেবা চালু করার কথা জানান হাসপাতালের উপ-পরিচালক।
অন্যদিকে, স্থাপন করা ৫টি আইসিইউ শয্যা দেখতে বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. হাসান শাহরিয়ার কবির ও সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি গতকাল বিআইটিআইডি হাসপাতালে পরিদর্শনে যান। এসময় বিআইটিআইডির উপ-পরিচালক ডা. বখতিয়ার আলম, করোনা টিমের ফোকাল পারসন ডা. মামুনুর রশীদ ও বিআইটিআইডি ল্যাব প্রধান ডা. শাকিল আহমেদ সাথে ছিলেন।
প্রসঙ্গত, গত বছরের মার্চ মাসে সংক্রমণ শুরুর দিকে করোনা আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসায় চট্টগ্রামে সরকারি দুটি হাসপাতাল নির্ধারণ করে করোনা মোকাবেলায় গঠিত জেলা পর্যায়ের কমিটি। এর একটি ফৌজদারহাটের বিআইটিআইডি (বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকসাস ডিজিজেস) হাসপাতাল। অপরটি চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতাল। যদিও পরবর্তীতে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালেও আলাদা ইউনিটে করোনা রোগীদের চিকিৎসা সেবা শুরু হয়।

পূর্ববর্তী নিবন্ধমডার্নার টিকা আসছে আজ ও কাল ২ চালানে
পরবর্তী নিবন্ধমহিলাকে হাসপাতালে এনে সটকে পড়ল স্বজন, লাশ হিমঘরে