উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও বৃষ্টিতে জেলার বিভিন্ন নদ–নদীর পানি বেড়ে ফুলছে কাপ্তাই হ্রদ। গত সোমবার রাত থেকে কাপ্তাই বাঁধের স্পিলওয়ে বা জলকপাট দিয়ে পানি নিষ্কাশিত হলেও ক্রমশ বাড়ছেই হ্রদের পানি। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে প্রথম ধাপে ৬ ইঞ্চি থেকে দ্বিতীয় দফায় দেড় ফুট এবং তৃতীয় দফায় আড়াই ফুটের পর বুধবার (৬ আগস্ট) রাত ১১টায় ৩ ফুট খোলা হয়েছে সবকটি জলকপাট।
কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎকেন্দ্রের তথ্যমতে, বর্তমানে কাপ্তাই বাঁধের স্পিলওয়ে দিয়ে ৫৮ হাজার কিউসেক পানি নিষ্কাশন হচ্ছে। এছাড়া বিদ্যুৎ উৎপাদনকেন্দ্রের ৫টি ইউনিট দিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদনের ফলে আরও ৩২ হাজার কিউসেক নিষ্কাশন হচ্ছে। সব মিলিয়ে ৯০ হাজার কিউসেক পানি নিষ্কাশিত হয়ে কর্ণফুলী নদী হয়ে বঙ্গোপসাগরে মিলছে।
এদিকে, টইটম্বুর কাপ্তাই হ্রদের পানি দিয়ে সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষে ৫টি ইউনিট সচল রেখেছে কর্তৃপক্ষ। ৫টি ইউনিট দিয়ে বুধবার সন্ধ্যা পর্যন্ত বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছিল ২১৪–২১৬ মেগাওয়াট। হ্রদে রাত ১১টা পর্যন্ত পানির উচ্চতা ছিল ১০৮ দশমিক ৭৯ ফুট এমএসএল।
কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎকেন্দ্রের সহকারী প্রকৌশলী তারেক আহমেদ রাত ১২টার আগে এক বার্তায় জানান, কাপ্তাই হ্রদে পানির উচ্চতা বাড়তে থাকায় রাত ১১টা থেকে গেটসমূহ ৩ ফুট করে খোলা হয়েছে। এতে স্পিলওয়ের মাধ্যমে প্রায় ৫৮ হাজার কিউসেক পানি হ্রদ থেকে কর্ণফুলী নদীতে নিষ্কাশিত হচ্ছে। রাত ১১টায় পানির উচ্চতা ছিল ১০৮ দশমিক ৭৯ ফুট এমএসএল।