বাস সার্ভিস নেই, টেক্সি-টেম্পোর কাছে জিম্মি যাত্রীরা

বোয়ালখালীতে রাত হলেই ভাড়া হয়ে যায় প্রায় দ্বিগুণ

এস এম নাঈম উদ্দীন, বোয়ালখালী | বৃহস্পতিবার , ১০ অক্টোবর, ২০২৪ at ১১:১২ পূর্বাহ্ণ

বোয়ালখালী উপজেলায় কোনো বাস সার্ভিস না থাকায় সিএনজিচালিত টেক্সি ও টেম্পোর চালকদের হাতে জিম্মি হয়ে আছেন যাত্রীরা। ইচ্ছেমতো ভাড়া আদায় করেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। কিছু বললে চালকরা দুর্ব্যবহারসহ যাত্রীদের গায়ে হাত তোলার অভিযোগও পাওয়া যায়। এছাড়া রাত হলে চালকরা দ্বিগুণ ভাড়া আদায় করেন যাত্রীদের কাছ থেকে।

মো. ওমর নামের নিয়মিত এক যাত্রী বলেন, কালুরঘাট থেকে গোমদণ্ডী নির্দিষ্ট ভাড়া ১০ টাকা। সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত ভাড়া ১০ টাকা ভাড়া থাকলেও রাত হওয়ার সাথে সাথে তা দ্বিগুণ বেড়ে ২০ টাকা হয়ে যায়। প্রতিবাদ করতে গেলে চালকরা একত্রিত হয়ে যাত্রী না নেয়ার হুমকি দেয়। ফলে নিরুপায় হয়ে দ্বিগুণ ভাড়া দিয়ে যাতায়াত করতে হয়। বোয়ালখালী বাস সার্ভিস চালু করলে এসব হয়রানি থেকে যাত্রীরা পরিত্রাণ পাবে।

আবুল কালাম নামের এক যাত্রী বলেন, কালুরঘাট থেকে কানুনগোপাড়া টেম্পোযোগে নির্দিষ্ট ভাড়া ২০ টাকা আর অটোরিক্সায় ৩০ টাকা। কিন্তু রাত হলে টেম্পো ৪০ টাকা আর অটোরিক্সা ৫০ টাকা ভাড়া দাবি করে। কিছু বললে অন্য গাড়ি করে যেতে বলে চালকরা। চালকরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে যাত্রীদের জিম্মি করে রেখেছে। চালকদের নেই কোন মূল্য তালিকা। অধিকাংশ চালকদের নেই কোন লাইসেন্স। ইচ্ছেমতো ভাড়া আদায় করছে তারা। তাছাড়া অধিকাংশ চালক বেপরোয়াভাবে গাড়ি চালানোর কারণে বাড়ছে দুর্ঘটনা।নাজমা আকতার বলেন, চাকরির কারণে আমার প্রতিদিন শহরে যেতে হয়। কানুনগোপাড়া থেকে টেম্পো করে যাতায়াত করি আমি। সচরাচর কানুনগোপাড়া থেকে কালুরঘাট জনপ্রতি ভাড়া ২০ টাকা। কিন্তু রাত হলে ভাড়া নেয় ৪০ টাকা। সকালে যেতেও ভাড়া বেশি নেয়। অনেক সময় উঠা নামাও ৫০৬০ টাকা বলে দাবি করে বসে। চাকরির অর্ধেক টাকা ভাড়াতেই চলে যাচ্ছে। সংসার চালাবো কি করে?

এ বিষয়ে সিএনজি টেক্সির চালকদের সাথে কথা বললে তারা বলেন রাতে যাত্রী অনেক কম থাকে। গ্যাসের দাম আর কোম্পানিকে দৈনিক গাড়ি ভাড়া দিয়ে আমাদের কিছুই থাকে না। তাই মাঝে মাঝে ৫ টাকা বেশি নিই। তবে দ্বিগুণ ভাড়া বৃদ্ধি নেয়ার কথাটি সম্পূর্ণ মিথ্যা। অটো টেম্পো চালকদের সাথে কথা বললে তারা বলেন রাতে যাত্রী কম থাকায় মাত্র ৫ টাকা ভাড়া বেশি নেওয়া হয়। দ্বিগুণ ভাড়া নেওয়ার প্রশ্নই আসে না।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হিমাদ্রী খিসা বলেন, আমার কাছে ভাড়া বৃদ্ধির বিষয়ে অভিযোগ এসেছে। এসিল্যান্ডকে বিষয়টি দেখার দায়িত্ব দেওয়া হবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবৈষম্যমুক্ত শিক্ষা কার্যক্রম চান আত্তীকৃত শিক্ষকরা
পরবর্তী নিবন্ধবাঁশখালীতে ইপসার প্রকল্প অবহিতকরণ সভা