বাস-লঞ্চের বর্ধিত ভাড়া প্রত্যাহার না হলে কঠোর আন্দোলন

চট্টগ্রামে বিক্ষোভ সমাবেশে বাম নেতারা

| মঙ্গলবার , ৯ নভেম্বর, ২০২১ at ৭:২২ পূর্বাহ্ণ

জ্বালানি তেলের মূল্য কমানো, বাস-লঞ্চের বর্ধিত ভাড়া প্রত্যাহার ও দ্রবমূল্য নিয়ন্ত্রণের দাবিতে বাম গণতান্ত্রিক জোটের উদ্যোগে গতকাল সোমবার বিকেলে নগরীর নিউমার্কেট মোড়ে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে বক্তারা বলেন, অবিলম্বে বাস-লঞ্চের বর্ধিত ভাড়া প্রত্যাহার না হলে কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে। মহিন উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সিপিবি বিভাগীয় সমন্বয়ক কমরেড মৃণাল চৌধুরী, গণসংহতি আন্দোলন জেলা সমন্বয়কারী হাসান মারুফ রুমি, বাসদ (মার্কসবাদী) জেলা সদস্য সচিব শফি উদ্দিন কবির আবিদ। সমাবেশ পরিচালনা করেন বাসদ নেতা রায়হান উদ্দিন।বিক্ষোভ সমাবেশে নেতৃবৃন্দ বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে মূল্য বৃদ্ধি ও তেল পাচারের অজুহাত দেখিয়ে লিটার প্রতি ১৫ টাকা বৃদ্ধির ঘোষণা দেশবাসী প্রত্যাখ্যান করেছে। আন্তর্জাতিক বাজার থেকে ৪৬.৬৩ টাকায় তেল কিনে সরকার ৮০ টাকায় কিনতে বাধ্য করছে। সরকার তিন ধরনের শুল্ক, রিফাইন খরচ, জাহাজ খরচ ও পরিবহন বাবদ এখান থেকে প্রায় ৩৪% অর্থাৎ লিটারপ্রতি ১৯ টাকার বেশি তুলে নিচ্ছে। এভাবে শুল্ক-ভ্যাটসহ সরকার গত ৭ বছরে ৪৩ হাজার কোটি টাকার বেশি মুনাফা করেছে। মুনাফা থেকে মাত্র ৩ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকী প্রদান করলেই অথবা কর কমালেই তেলের দাম বাড়ানোর কোন প্রয়োজন হতো না বরং কমানো যেতো।
বক্তাগণ ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধির প্রভাব কৃষি, পরিহন, শিল্প ও বিদ্যুতে ব্যাপকভাবে পড়বে। কারণ পরিবহনের ৭২.৭৯ ভাগ, কৃষির ৯৯.৭৩, শিল্পের ৮০.৯৮ ভাগ, বিদ্যুৎ ১৫.২২ ভাগ ডিজেল নির্ভরশীল। এছাড়া বিদ্যুৎ উৎপাদনে ২৬ ভাগ ফার্নেস অয়েল ব্যবহৃত হয়। মূল্য বৃদ্ধির প্রভাবে এই প্রতিটি সেক্টরের উপর নির্ভশীল প্রায় ১৬ কোটি মানুষ সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। ইতোমধ্যে বাস ও লঞ্চের ভাড়া ২৭% ও ৩৬% বৃদ্ধি করেছে। কিন্তু পরিবহন মালিকেরা বর্ধিত যে ভাড়ার ঘোষণা বিআরটিএ দিয়েছে বাস্তবে তার চেয়ে বেশি ভাড়া যাত্রীদের থেকে আদায় করছে। সরকার ও পরিবহন মালিকদের সাজানো নাকটকের মাধ্যমেই এই ভাড়া বৃদ্ধি করা হল। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধক্রিকেট কোচেস অ্যাসোসিয়েশনের দোয়া মাহফিল
পরবর্তী নিবন্ধলোহাগাড়ায় ৪র্থ শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ