রাজধানীতে বাস পোড়ানোর ঘটনা সরকারি এজেন্টদের ‘নাশকতা’ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। গতকাল শুক্রবার সকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি কার্যালয়ে মিট দ্য রিপোর্টার্স অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, আমাদের যে অভিজ্ঞতা আপনারাও জানেন, দেখা যায় যে, সরকারের কিছু কিছু অংশ যারা বিভিন্নভাবে কাজ করে, কেউ কেউ স্যাবোটাজ করার জন্য এ ধরনের ঘটনা ঘটায়। আমি স্পষ্টভাষায় বলতে চাই, বিএনপি এই রাজনীতি করে না। ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি কার্যালয়ের সাগর-রুনি মিলনায়তনে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন বিএনপি মহাসচিব। খবর বিডিনিউজের।
বৃহস্পতিবার ঢাকা-১৮ ও সিরাজগঞ্জ-১ আসনে উপনির্বাচনে ভোটগ্রহণ চলার মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন স্থানে অন্তত নয়টি বাসে আগুন দেওয়া হয়। ভোটগ্রহণে বাধা সৃষ্টি করতেই এ নাশকতা বলে পুলিশের দাবি। বাস পোড়ানো ও মিছিলের ঘটনায় বিএনপি নেতাকর্মীদের আসামি করে গতকাল শুক্রবার নয়টি মামলা হয়েছে।
বিএনপিকে অভিযুক্ত করে মামলা দায়েরের প্রতিক্রিয়ায় বিএনপি মহাসচিব বলেন, বৃহস্পতিবার যে ঘটনা ঘটেছে এটা অত্যন্ত দুঃখজনক, এটা ন্যাক্কারজনক ঘটনা। আমি তীব্র ভাষায় এর নিন্দা করছি। আমরা যারা রাজনীতি করি তারা সবসময় শান্তিপূর্ণ গণতান্ত্রিক চিন্তাভাবনা ও গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে কাজ করি। এগুলো কখন হয় যখন দেশে কোনো গণতান্ত্রিক স্পেস থাকে না। আপনি একটা মিছিল করতে পারবেন না, কোথাও গিয়ে সভা করতে পারবেন না- এসব অনেকদিন ধরে হয়ে আসছে। যার ফলে অনেক সময় এই ধরনের যারা দুস্কৃতিকারী তারা এই সুযোগগুলো নিয়ে এসব ঘটায়। মির্জা ফখরুল বলেন, আমাদের দেশনেত্রী দুই বছর ধরে জেলে। আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সাহেব দেশের বাইরে। এরকম একটা কঠিন সময়ে কিন্তু আমাদের ঐক্য অটুট আছে। এই ধরনের দলে যেটা হয় কেউ কেউ পদত্যাগ করে চায়। এখনও দলের মধ্যে কোনো ভাগ হয়নি। আমাদের দল চলে যৌথ নেতৃত্বের মাধ্যমে। তিনি বলেন, আমরা মনে করি যে, উনি (খালেদা জিয়া) অ্যাকটিভ আছেন মানসিকভাবে। তার যে অস্তিত্ব দেশের মানুষের মধ্যে, এটা অত্যন্ত গভীরে। আমরা মনে করি, উনি রাজনীতিতে আছেন এবং থাকবেন। অবশ্যই উনি অ্যাকটিভ হবেন।
এক প্রশ্নে মির্জা ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক সাহেব বলেছেন, বিএনপি গণতন্ত্রের জন্য অন্তরায়। আসলে প্রধান অন্তরায় তো তারা।
দলের ভাইস চেয়ারম্যান নিতাই রায় চৌধুরীর প্রকাশিত অডিও সম্পর্কে তিনি বলেন, আমি এটা শুনিনি, জানিও না। তবে যেটা যেখানে যেভাবে আসুক, এগুলো আমরা সমর্থন করি না। এগুলোর পেছনে সরকারের হাত সবসময় থাকে, যারা এটাকে মেনিপুলেটেড করে। ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি রফিকুল ইসলাম আজাদের সভাপতিত্বে মিট দ্য প্রেসে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক রিয়াজ চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।