বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেছেন, সরকার যে হারে ভাড়া বাড়িয়েছেন মালিকরা এখন তার কয়েক গুণ বাড়তি ভাড়া আদায় করছে। এতে দেশের সাধারণ মানুষ অসহায় হয়ে পড়েছে। এহেন অন্যায় ও অন্যায্যভাবে বাড়ানো বাস ও লঞ্চের ভাড়া বাতিলের দাবি জানান তিনি। গতকাল শুক্রবার সকালে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সামনে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি চট্টগ্রাম মহানগর কমিটি আয়োজিত যাত্রী স্বার্থ জলাঞ্জলি দিয়ে মালিক শ্রমিক ও সরকার মিলেমিশে একচেটিয়াভাবে গণপরিবহণ ভাড়া বৃদ্ধির প্রতিবাদে আয়োজিত প্রতিবাদ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এ প্রতিবাদ সভায় তিনি ঢাকা ও চট্টগ্রাম মহানগরের আলাদা আলাদা ভাড়া নির্ধারণ, পুরনো গাড়ি ও নতুন গাড়ির আলাদা আলাদা ভাড়া নির্ধারণের পাশাপাশি ভাড়া নির্ধারণের নানা অযৌক্তিক দিক তুলে ধরার পাশাপাশি দূরত্ব জালিয়াতি ও ভাড়ার তালিকা জালিয়াতিসহ ভাড়া নির্ধারণের নানা অনিয়মের চিত্র তুলে ধরেন। এসব অনিয়ম বন্ধ করে মালিক শ্রমিকদের সংখ্যানুপাতে যাত্রী সাধারণের প্রতিনিধি নিয়ে গণপরিবহণের ভাড়া নির্ধারণ কমিটি পুনঃগঠনের দাবি করেন। সভায় বলা হয়, ২০১৬ সালে তেলের মূল্য প্রতি লিটারে ৩ টাকা কমানো হলে বাসের ভাড়া কমানো হয় প্রতি কিলোমিটারে ৩ পয়সা। আর বাসের ভাড়া বাড়ানোর ক্ষেত্রে বাড়ানো হয়েছে ২৭ পয়সা। তারা প্রতি লিটারে ১৫ টাকা তেলের মূল্য বৃদ্ধি অনুপাতে প্রতি কিলোমিটারে ১৫ পয়সা বাস ও লঞ্চ ভাড়া বাড়ানোর দাবি জানান। সভায় জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধিকে কেন্দ্র করে সারা দেশে গণপরিবহণগুলোতে চলমান ভাড়া নৈরাজ্য বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য সরকারের সংশ্লিষ্টদের কাছে অনুরোধ জানান। সংগঠনের সভাপতি সৈয়দ মোকতার উদ্দীনের সভাপতিত্বে এই প্রতিবাদ সভা সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক ইমতিয়াজ আহমেদ। এতে বক্তব্য রাখেন ন্যাপ সাংগঠনিক সম্পাদক মিটুল দাশগুপ্ত, মহানগর জাতীয় পার্টি যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এস এম সাইফুল্লাহ সাইফু, মো. জাফর ইকবাল, নোমান উল্লাহ বাহার, নেছার আহমদ খান, ওসমান জাহাঙ্গীর, মো. সোহেল আহমেদ, এস এম নুরুল আমিন, মো. জাহিদুল ইসলাম, আবুল কালাম প্রমুখ। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।