বাস ও ট্রেনে জনস্রোত

পরিবার-পরিজনের সাথে ঈদ করতে শহর ছাড়ছে মানুষ

আজাদী প্রতিবেদন | শনিবার , ১৫ জুন, ২০২৪ at ৬:১০ পূর্বাহ্ণ

টানা পাঁচদিনের ছুটি পেয়ে পরিবারপরিজনের সাথে ঈদ করতে শহর ছাড়ছে মানুষ। যে যেভাবে পারছে বাসেট্রেনে ছুটছে প্রিয়জনের সান্নিধ্যে ঈদ করতে গ্রামের পথে। ঈদ উল আযহা উপলক্ষে গত বৃহস্পতিবার ছিল সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের শেষ কর্মদিবস।

ওইদিন অফিস করে অনেকেই গ্রামে ফিরে গেছেন। যারা যেতে পারেননিতারা গতকাল সকাল থেকে গ্রামের পথে ছুটেছেন পরিবার নিয়ে। তাই অন্যান্য দিনের চেয়ে গতকাল সকাল থেকে চট্টগ্রাম রেল স্টেশন ও বাস স্টেশনে ছিল জনস্রোত। গ্রামে ঈদ করতে শহর ছাড়ছে মানুষ। গতকাল সকালে এবং বিকেলে চট্টগ্রাম রেল স্টেশনে গিয়ে দেখা গেছে প্রতিটি ট্রেনে উপচেপড়া ভিড়। ট্রেনের অগ্রিম টিকিটের যাত্রীদের পাশাপাশি স্টেশন থেকে তাৎক্ষণিক স্ট্যান্ডিং টিকিট কেটে বাড়ি যাচ্ছেন শত শত যাত্রী।

আগামী ১৭ জুন পবিত্র ঈদুল আযহা। সরকারি অফিসআদালতে গত বৃহস্পতিবার ছিল শেষ কর্ম দিবস। তাই গতকাল শুক্রবার আগে ভাগেই স্বাচ্ছন্দ্যে সবাই বাড়ি ফিরতে পারছেন। গতকাল ১৪ জুন শুক্রবার থেকে শুরু হওয়া সরকারি ছুটি থাকছে ১৮ জুন মঙ্গলবার পর্যন্ত। ৫দিনের ঈদের ছুটি শেষে ১৯ জুন বুধবার অফিস খুলবে। তবে বেসরকারি অফিস ও কলকারখানায় কর্মকর্তা কর্মচারীরা ছুটি পাবেন রবিবার থেকে। শনিবার শেষ অফিস করে তারা বাড়ির পথে পা বাড়াবেন। গতকাল ১৪টি আন্তঃনগর ট্রেনে এবং ৪ ঈদ স্পেশাল ট্রেনে মোট ২০ হাজার যাত্রী চট্টগ্রাম ছেড়েছে বলে জানান চট্টগ্রাম রেল স্টেশনের ম্যানেজার মো. মনিরুজ্জামান। ঈদ উপলক্ষে যাত্রীদের চাহিদার কারণে নিয়মিত আন্তঃনগর ট্রেনের পাশাপাশি অনেক ট্রেনে ২৫ শতাংশ স্ট্যান্ডিং টিকিট বিক্রি করা হচ্ছে বলে জানান চট্টগ্রাম রেল স্টেশনের ম্যানেজার মো. মনিরুজ্জামান। তিনি আজাদীকে বলেন, চট্টগ্রাম থেকে ১৪টি আন্তঃনগর ট্রেনের পাশাপাশি ৪ জোড়া স্পেশাল ট্রেন চালু হয়েছে। প্রতিটি ট্রেন যথাসময়ে চট্টগ্রাম স্টেশন ছেড়ে গেছে। সব ট্রেনে উপচেপড়া ভিড় ছিল। সুবর্ণ, সোনার বাংলা, কক্সবাজার এক্সপ্রেস ও পর্যটক এক্সপ্রেস ছাড়া অন্যান্য সকল ট্রেনে ২৫ শতাংশ স্ট্যান্ডিং টিকিট বিক্রি করা হয়েছে। এক জোড়া কক্সবাজার স্পেশাল ট্রেন, ১ জোড়া ময়মনসিংহগামী স্পেশাল এবং চাঁদপুরগামী ২ জোড়া স্পেশাল ট্রেনও চালু হয়েছে। আজ শনিবারও ভিড় হবে বলে জানান স্টেশনের ম্যানেজার মো. মনিরুজ্জামান।

চট্টগ্রাম রেল স্টেশনের মতো সকাল থেকে লোকারণ্য ছিল কদমতলী আন্তঃজেলা বাস স্টেশন, গরীবউল্লাহ শাহ মাজার গেইট এবং বিআরটিসি বাস স্টেশনে দূরপাল্লার বাসগুলোতেও। প্রতিটি বাস কাউন্টারের সামনে আসার সাথে সাথেই যাত্রীদের ওঠার জন্য হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। দূর পাল্লার বাস কাউন্টার গুলোতে ছিল যাত্রীদের সীমাহীন ভিড়। আন্তঃজেলা বাস মালিক সমিতির নেতারা জানান, চট্টগ্রাম থেকে ২৫ থেকে ৩০টি জেলায় প্রায় ৫শ’ দূরপাল্লার বাস আসাযাওয়া করছে। ঈদে প্রতিদিন ৪০ হাজারের ওপরে যাত্রী পরিবহন করা হচ্ছে। গতকালও চট্টগ্রাম থেকে বিভিন্ন জেলার ৪০ হাজারের মত যাত্রী বিভিন্ন কোম্পানির দূরপাল্লার বাসে বাড়ি ফিরেছেন। আগামীকাল রবিবার (ঈদের আগের দিন) পর্যন্ত সারাদেশে ঈদে বাড়ি ফেরা বাস যাত্রীদের নির্বিঘ্নে পৌঁছে দেয়া হবে বলে জানান আন্তঃজেলা বাস কাউন্টারের কর্মকর্তারা।

পূর্ববর্তী নিবন্ধমহানগর বিএনপির নেতৃত্বে কারা আসছেন
পরবর্তী নিবন্ধকৌতুক কণিকা