চট্টগ্রাম নগরীর টেরিবাজার এলাকার হাজারী গলির বাম পাশে “আল মদিনা রেস্তোরা”তে অপরিস্কার অপরিচ্ছন্ন খাবার পরিবেশন এবং ফ্রিজে কাঁচা মাংসের সাথে আগে থেকে রান্না করা বাসি খাবার নোংরা খবরের কাগজ মুড়িয়ে সংরক্ষণ করার অভিযোগে নিয়মিত মামলা রুজু করেছে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ।
বুধবার (৫ জুন) খাদ্য স্থাপনায় অভিযানে নেতৃত্ব দেন বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ আবদুস সোবহান। তাদের সাথে ছিলেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন নিরাপদ খাদ্য অফিসার মোহাম্মদ বশির আহম্মেদ, খাদ্য পরিদর্শক ইয়াছিনুল হক চৌধুরী, নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের অন্যান্য কর্মচারীরাসহ চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের একটি চৌকস টীম।
বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন নিরাপদ খাদ্য অফিসার মোহাম্মদ বশির আহম্মেদ বলেন, রেস্তোরাটির খাবার পরিবেশ কক্ষটি একেবারে পরিস্কার পরিপাটি। বাইরের পরিবেশ দেখে বুঝার উপায় প্রতিষ্টানটি অপরিষ্কার। অস্বাস্থ্য পরিবেশে খাবার রান্না হচ্ছে। ক্রেতাদের বাসি খাবার খাওয়ানো হচ্ছে। অপরিস্কার অপরিচ্ছন্ন
খাবার পরিবেশন এবং ফ্রিজে কাঁচা মাংসের সাথে নোংরা খবরের কাগজ পেছিয়ে খাবার সংরক্ষণ অভিযোগে নিয়মিত মামলা রুজু হয়েছে।
এ ব্যাপারে আল মদিনা রেস্তোরা কর্তৃপক্ষের কাছে জানতে চাইলে, রেস্তোরা কর্তৃপক্ষ কিছু না বলে প্রশ্ন এড়িয়ে যায়। কোন প্রশ্নের উত্তর দিতে নারাজ কর্তৃপক্ষ। কিছু হয়নি কিছু হয়নি বলে দ্রুত স্থান ত্যাগ করে ০রোস্তারা কর্তৃপক্ষ।
আল মদিনা রেস্তোরার এসব অনিয়মের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের নেওয়া আইনগত ব্যবস্থা কিংবা জরিমানা এড়ানো জন্য বিভিন্ন কৌশল অবলম্বনের চেষ্টা করে রেস্তোরা কর্তৃপক্ষ।
ভালো সম্পর্ক সৃষ্টি করে কিংবা অন্যকিছু। এমনকি আইনগত ব্যবস্থা থেকে রেহায় পেতে মোবাইল ফোনে চট্টগ্রামের এক জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট দিয়ে অভিযানে আসা বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেটের সাথে কথা বলানোর অপ্রাণ চেষ্টা চালায় রেস্তোরা কর্তৃপক্ষ।
কিন্তু তাতে রাজি হননি নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট আবদুস সোবহান। পরে রোস্তারাটির নানান অনিয়মের আলমত সংগ্রহ করে নিয়মিত মামলা রুজুর ব্যবস্থা করে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ চট্টগ্রাম।