রসুলবাগ এলাকা একটি জনবহুল ও ঘনবসতি এলাকা। আমরা ‘গ্রীন সিটি’ আবাসিক এলাকার বাসিন্দা। এখানে প্রায় ১ হাজার লোকের বাস। আমাদের চলাচলের রাস্তা রসুলাবাগের খালপাড় ও সৈয়দ শাহ রোড। কিন্তু অত্যন্ত দুখের বিষয় আমাদের চলাচলের রাস্তায় খোলা জায়গায় আমাদের গেইটের সামনেই রাসুলবাগ এলাকার সব বর্জ্য ফেলা হচ্ছে। যা পরিবেশের জন্য অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। আমাদের বাচ্চারা এ রাস্তা দিয়েই বর্জ্য মাড়িয়ে স্কুল কলেজে যাতায়াত করে। বর্জ্যের কারণে এখানে কুকুরের উৎপাত বেড়েছে। এমনকি কুকুরের থাবা/কামড়ের শিকার হচ্ছে প্রতিনিয়ত। সে ভয়ে বাচ্চারা বেরুতে চায় না। যেতে পারে না দোকান–পাটে, চলাচলে অসুবিধা হচ্ছে পথচারীর। রাস্তায় ময়লার স্তূপের কারণে কোনো সিএনজি বা রিকশাও চলতে পারে না। এতে অসুস্থ রোগী পরিবহনও সম্ভব হয় না। শুক্রবার জুমার নামাজ আদায় করতে হয়ে বর্জ্যের উপর জায়নামাজ বিছিয়ে। এমনতর অমানবিক আচরণ এ সভ্যসমাজে আদৌ গ্রহণযোগ্য কিনা আমার বোধগম্য নয়। এসকল অসুবিধার কারণে আমরা এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন এর শরণাপন্ন হই। তিনি সরেজমিনের তদন্ত করে উভয় পক্ষকে তাঁর চেম্বারে ডেকে এর সহজ সমাধানের জন্য একটি পরামর্শ দেন। কিন্তু রসুলবাগ আবাসিক এলাকার কর্মকর্তাগণ তার পরামর্শ উপেক্ষা করে যথারীতি বর্জ্য ফেলে যাচ্ছে। আমরা আবারো মেয়র সমীপে শরণাপন্ন হলে তিনি এলাকায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, সিইিসি এবং পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তাদের পাঠান। সেদিন উপস্থিত জনসাধারণের সামনে আবাসিক এলাকার সভাপতি ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ করেন এবং সাংবাদিক ইসমাইল ইমন ভিডিও ধারণ করলে সভাপতি আসাদউল্লাহ মিডিয়াকে কেজি দরে কিনতে পারে বলে মন্তব্য করেন যার ভিডিও ইতিমধ্যে ভাইরাল। সেদিনও উপস্থিত চসিক কর্মকর্তারা অত্যন্ত ধৈর্যের পরিচয় দেন। বর্জ্য এখানে না ফেলার অনুরোধ করেন এবং প্রয়োজনীয় সহযোগিতার আশ্বাস দেন। কিন্তু ‘যেই লাউ সেই কদু’। পরবর্তীতে চসিকের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জনাব প্রণয় চাকমা ও চসিক মেয়রের উপদেষ্টা খালেদ শাহরিয়ার এলাকা পরিদর্শনে যান। তখন রসুলবাগ এলাকার কেনো কর্মকর্তা তাদের ডাকে সাড়া দেন নি। সর্বশেষ ২০ নভেম্বর জনাব প্রণয় চাকমা তাঁর অফিসে উভয়পক্ষকে তলব করেন। এতে তিনি উভয় পক্ষের উপস্থিতিতে বর্জ্য উক্তস্থানে না ফেলার একটি চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেন। এবং পাইলট পদ্ধতিতে সিটি কর্পোরেশনের সহযোগিতায় বর্জ্য ডাম্পিং স্টেশেন ফেলার নির্দেশ দেন। উভপক্ষ সে রায় মেনে এলাকায় এসে প্রশাসনের নির্দেশ বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে জুমার নামাজে মাইক দিয়ে ঘোষণা দিয়ে আমাদের বাসার সামনেই খোলা রাস্তায় বর্জ্য ফেলার আহবান জানান। এ বিষয়ে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। আমরা জানি নগরের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা সিটি কর্পোরেশনের একটি নাগরিক সেবা। সে নিমিত্তে তাদের একটি নির্দিষ্ট ব্যবস্থাপনা রয়েছে। যা নাগরিকের জন্য কল্যাণকর। মাননীয় মেয়র আমাদের নগর অভিভাবক। তাঁর সিদ্ধান্তকে সম্মান জানিয়ে এ বর্জ্য ব্যবস্থানার একটি সুষ্ঠু সমাধান চাই।
মোহাম্মদ ইসমাইল, একর্ড গ্রীন ভিলেজ, গ্রীন সিটি, রাসুলবাগ, বাকলিয়া, চট্টগ্রাম।












