নগরীর চকবাজার থানাধীন চাঁন মিয়া মুন্সি লেইনস্থ একটি বাসা থেকে এক গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। প্রাথমিকভাবে পুলিশ ধারণা করছে তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে। নিহতের নাম ইয়াছমিন আক্তার (২৩)। তার স্বামী জুবাইর উল্লাহ (৩১) পলাতক রয়েছে। জেরিন নামে তাদের তিন বছর বয়সী একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। ঘটনার পর সন্তান জেরিনকে নিয়ে স্বামী পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় নিহতের মা ফাতেমা বেগম বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করছেন। এ প্রসঙ্গে চকবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওয়ালিউদ্দিন আজাদীকে জানান, বাড়ির মালিক থেকে খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়েছি। প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি পারিবারিক বিরোধের জের ধরে এ হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে। আসামিকে গ্রেপ্তারে আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি।
নিহতের স্বজন ও স্থানীয়দের বরাতে জানা যায়, ইয়াছমিন আক্তাররা দুই বোন। তিনি বড়। বাবা আবুল কাসেম তাদের রেখে অন্যত্র বিয়ে বসলেও, মা ফাতেমা বেগম তাদের ছেড়ে যাননি। ইয়াছমিন গার্মেন্টসে চাকরি করতে গিয়ে জুবাইর উল্লাহর সাথে পরিচয়, চার বছর আগে বিয়ে। চলতি মে মাসের ১ তারিখ তারা চকবাজার থানাধীন চাঁন মিয়া মুন্সি লেইনস্থ আবেদীন কলোনি–২ এর ইমাম কলোনির ৩য় তলার ৪নং রুমে ভাড়াটিয়া হিসেবে উঠেন। দুদিন পর থেকেই আশেপাশের লোকজন জানতে পারে তাদের মধ্যকার দাম্পত্য কলহ সম্পর্কে। ইয়াছমিনও প্রতিবেশীদের জানান, স্বামীর পরকীয়ায় বাধা দেওয়ায় তাকে প্রায়শঃ মার খেতে হয়। গত রাতে সাংসারিক বিষয় নিয়ে উভয়ের মধ্যে ঝগড়া হয় এবং একপর্যায়ে স্বামী তাকে মারধর করেন।
গতকাল সকালে স্বামী জুবাইর উল্লাহ বাসার মালিককে ফোন করে জানান, তার স্ত্রীকে গত রাতে মারধর করে চলে এসেছেন। বর্তমানে কি অবস্থায় আছে সেটা দেখার জন্য বলেন। পরবর্তীতে মালিক পুলিশে খবর দেন।