সুমন, রফিক, মিলন, অনিক
আছিস তোরা কই!
তেঁতুল তলার ঘাটের কাছে
চলনা জড়ো হই।
খেলার মাঠে যারা আছিস
তোরাও সবাই আয়।
গাঁয়ের ছেলে সবাই মিলে
রুখবো এক অন্যায়।
ব্যাট উঁচিয়ে তুহিন বলে…
কী হয়েছে বল!
ভালো কাজের সাথে আছি
কোথায় যাবি বল্।
এগিয়ে গিয়ে, ভিড় থামিয়ে
বলি তবে… শোন!
মোল্লা চাচার ছোট মেয়ে
সে আমাদের বোন।
আজ নাকি তার বিয়ে হবে
বারো বছরের মেয়ে!
বিবাহটা রুখতে হবে
যে কোনো উপায়ে।
আমার কথায় উঠলো ক্ষেপে
কিশোর ছেলের দল।
সমস্বরে বললো সবাই…
চাচার বাড়ি চল।
কেউ ধরলো চাচার দু‘পা,
কেউ ধরলো গলা।
বাল্যবিয়ের কুফল যতো
সবই হলো বলা।
কেউ শোনালো আইনের ধারা,
কেউ বা দিল জ্ঞান
কেউ বললো বিয়ে ঠেকাতে
পুলিশ ডেকে আন।
হল্লা শুনে দল পাকিয়ে
মানুষ হলো জড়ো
মোল্লা চাচা ভয়ে হলেন
ভীষণ জড়োসড়ো।
দাবির মুখে হলেন কাবু
বললেন–শোনো সবে,
আল্লাহর নামে কথা দিলাম
এই বিয়ে রদ হবে।
মেয়ে আমার, পড়বে আবার
হবে অনেক বড়ো।
দেশ ও দশের করবে সেবা
জ্ঞানী হবে আরো।
চাচার কথায় গ্রামের সবাই
খুশিতে আটখানা।
বললো সবাই… এই গ্রামে
বাল্যবিয়ে মানা।