জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান বলেছেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ভিশন–২০৪১ পূরণে সরকার সর্বক্ষেত্রে সমৃদ্ধ ও স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনকল্পে কাজ করে যাচ্ছে। প্রায় সর্বক্ষেত্রে ডিজিটালাইজড হচ্ছে। আধুনিক ও স্মার্ট বাংলাদেশের সাথে বাল্যবিবাহের মত একটি গর্হিত কাজ যায় না। এটি জাতির জন্য অভিশাপ। এটি নিরোধ করতে হবে। এক্ষেত্রে নিকাহ্ রেজিস্ট্রারগণের গুরুত্বপূর্ণ ও মুখ্য ভূমিকা পালন করতে হবে।
তিনি গত মঙ্গলবার চট্টগ্রাম জেলা রেজিস্ট্রারের কার্যালয়ের উদ্যোগে চট্টগ্রাম লেডিস ক্লাবে অনুষ্ঠিত ‘বাল্যবিবাহ নিরাধে নিকাহ্ রেজিস্ট্রারগণের দায়িত্ব–কর্তব্য ও ভূমিকা’ শীর্ষক উদ্বুদ্ধকরণ কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
এ সময় জেলা প্রশাসক নিকাহ্ রেজিস্ট্রারগণের মতামত গ্রহণ করেন। রেজিস্ট্রারগণ বলেন, বাল্যবিবাহ ও বাল্যবিবাহ নিবন্ধণ দুটি ভিন্ন বিষয়। নিকাহ্ রেজিস্ট্রারগণ বাল্যবিবাহ্ রেজিস্ট্রি করেন না। বরং দেশের সকল কোর্ট বিল্ডিং এলাকায় কোর্ট এফিডেভিট ও নোটারি পাবলিক খ্যাত কোর্ট মা্যরেজের মাধ্যমে বাল্যবিবাহ্ সম্পাদিত হয়। কোর্ট ম্যারেজের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নির্দেশনা থাকা সত্ত্বেও এ জাতীয় অপকর্ম সম্পাদিত হচ্ছে। জেলা প্রশাসক এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের আশ্বাস দেন।
চট্টগ্রাম জেলা রেজিস্ট্রার মিশন চাকমার সভাপতিতে অনুষ্ঠিত সেমিনারে বিশেষ অতিথি ছিলেন রেজিস্ট্রি অফিসসমূহের পরিদর্শক, চট্টগ্রাম বিভাগ মো. আশরাফুজ্জামান। তিনি সর্বদা মুসলিম নিকাহ্ ও তালাক রেজিস্ট্রেশন বিধিমালার আলোকে রেজিস্ট্রি কার্যক্রম সম্পাদনের জন্য নির্দেশ প্রদান করেন। সম্মিলিত নিকাহ্ রেজিস্ট্রারগণের সার্বিক সহযোগিতায় অনুষ্ঠিত কর্মশালায় সমন্বয়ক হিসেবে বক্তব্য রাখেন কাজী ইউসুফ আলী চৌধুরী। অনুষ্ঠান শেষে চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী মেজবানের ব্যবস্থা করা হয়। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।