বালুর স্তূপে ওঠে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট, সেই কিশোরীর মৃত্যু

রাঙ্গুনিয়া প্রতিনিধি | বুধবার , ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ at ৬:৪৫ পূর্বাহ্ণ

বালুর স্তূপে খেলতে ওঠে বৈদ্যুতিক তারে ঝলসে যাওয়া ১৩ বছর বয়সী শিক্ষার্থী মাহিয়া জিন্নাত মায়া গত সোমবার রাত একটার দিকে ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে মৃত্যুবরণ করেছে। জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার দিকে রাঙ্গুনিয়া উপজেলার বেতাগী ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ড গুনগুনীয়া বেতাগী বালুর চর এলাকায় ওই শিশু বিদ্যুৎস্পৃষ্টে দ্বগ্ধ হয়। এতে তার শরীরের ৬০ ভাগ পুড়ে যায়। সে উপজেলার মরিয়মনগর ইউনিয়নের পূর্ব সৈয়দবাড়ি এলাকার মো. আলমগীরের মেয়ে এবং স্থানীয় নুরুল উলুম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী ছিলো।

প্রত্যক্ষদর্শী ও নিহতের পরিবারের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মাহিয়া ৭ সেপ্টেম্বর সকালে উপজেলার বেতাগী ইউনিয়নের গুনগুনীয়া বেতাগী গ্রামে মামার বাড়িতে বেড়াতে যায়। ওই দিন বিকেলের দিকে বাড়ির কাছে বালুর চর নামক স্থানে কয়েকজন শিশুসহ খেলতে বের হয়। সন্ধ্যার দিকে নদীপাড়ের একটি বালির স্তূপে খেলতে উঠলে অসাবধানতাবশত বিদ্যুতের তারের সঙ্গে লেগে গুরুতর আহত হয় সে। পরে তাকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করান স্বজনরা। রাত ৯টার দিকে তাকে চিকিৎসকরা ঢাকা শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে পাঠিয়ে দেন। অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে ভর্তি করা হয়। সেখানেই তার মৃত্যু হয়।

বেতাগী ইউনিয়ন পরিষদেরর সাবেক সদস্য ও মাহিয়ার মামা নাজমুল হক বলেন, আমার ভাগ্নীকে আর বাঁচানো গেল না। চিকিৎসকরা জানিয়েছিলেন, তাঁর শরীরের ৬০ ভাগ পুড়ে গেছে। নাজমুল হকের অভিযোগ, কর্ণফুলী নদী থেকে বালু তোলার পর বালুগুলো বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন ছুঁইছুঁই অবস্থায় রাখা হয়েছে। অপরিকল্পিতভাবে বালু রাখার কারণে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার (গতকাল) বিকাল ৫টার দিকে জানাজা শেষে স্থানীয় কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।

রাঙ্গুনিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ চন্দন কুমার চক্রবর্তী বলেন, বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে স্কুল ছাত্রী মারা যাওয়ার বিষয়টি শুনেছি। অভিযোগ পেলে আমরা বিষয়টি দেখব।.

পূর্ববর্তী নিবন্ধডেঙ্গুতে শিশুর মৃত্যু চট্টগ্রামে নতুন রোগী ১৩৮ জন
পরবর্তী নিবন্ধঅক্সিজেন এলাকায় ১৮টি গাড়ি জব্দ