চকরিয়ার বরইতলী ইউনিয়নে মাতামুহুরী নদী থেকে উত্তোলিত অবৈধ বালু মহাল নিয়ন্ত্রণ নিয়ে বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। গতকাল সোমবার সকাল এগারোটার দিকে পার্শ্ববর্তী পেকুয়া উপজেলা থেকে চকরিয়ার বরইতলী ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের মুন্সীঘোনাস্থ ওই বালু মহাল নিয়ন্ত্রণ নিতে আসলে এ ঘটনা ঘটে।
মুন্সীঘোনার স্থানীয়রা জানান– সদ্য ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের স্থানীয় একটি সিন্ডিকেট দীর্ঘদিন ধরে মাতামুহুরী নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে আসছিল। কিন্তু ক্ষমতার পটপরিবর্তনের পর থেকে বালু উত্তোলন বন্ধ রয়েছে। আগে থেকে উত্তোলন করা বালু সোমবার সকালে পেকুয়ার উপজেলা যুবদলের এক নেতার নেতৃত্বে ২৫–৩০ জন দলীয় নেতা–কর্মী গাড়িযোগে ঘটনাস্থলে গিয়ে বালু মহাল নিয়ন্ত্রণ নেয়ার চেষ্টা চালায়। এ সময় খবর পেয়ে বরইতলী ইউনিয়ন বিএনপির বেশকিছু নেতাকর্মী তাদের ধাওয়া দেন। এ সময় পক্ষদ্বয়ের মধ্যে ধাওয়া–পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
এ বিষয়ে বরইতলী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন বিএনপির সিনিয়র নেতা জালাল আহমদ সিকদার বলেন, পেকুয়া উপজেলা যুবদল নেতা ও ইউপি সদস্য সাহেদুল ইসলাম মেম্বার, যুবদল নেতা সাজ্জাদের নেতৃত্বে একদল নেতাকর্মী লাঠিসোঁটা নিয়ে চকরিয়ার বরইতলীতে এসে অবৈধ বালুমহালের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় খবর পেয়ে বরইতলীর পহরচাঁদা সাংগঠনিক ইউনিয়ন বিএনপির নেতাকর্মীরা পেকুয়া থেকে আসা যুবদল নেতাকর্মীদের প্রতিরোধ করে।
অভিযোগের বিষয়ে বক্তব্য নেওয়ার জন্য যুবদল নেতা সাহেদুল ইসলামের ব্যবহৃত মোবাইলে কল করা হয়। তবে মোবাইলটি বন্ধ থাকায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
এদিকে সাহেদুল ইসলাম পেকুয়া যুবদলের সদস্যও নয় জানিয়ে পেকুয়া উপজেলা যুবদলের সভাপতি কামরান জাদিদ মুকুট দাবি করেন, তিনি এবং যুবদলের কেউ–ই পেকুয়া থেকে চকরিয়ায় কোন অবৈধ বালু মহাল দখল বা নিয়ন্ত্রণ নিতে যায়নি। তবে দলের একটি পক্ষ এ নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে বলেও অভিযোগ মুকুটের।