বালি আর্কেড ফুডকোটে ‘ইফতারের হাট’

আজাদী প্রতিবেদন | শুক্রবার , ২১ মার্চ, ২০২৫ at ৯:১২ পূর্বাহ্ণ

নগরীর চকবাজার বালি আর্কেড শপিং মলের ফুডকোটে বসেছে ইফতার হাট। দেশি বিদেশি হরেক পদের ইফতারি নিয়ে এ হাট বসেছে। বন্ধুবান্ধব কিংবা পরিবার নিয়ে এ স্বাদ নিতে চান তাদের পছন্দের ঠিকানা বালি আর্কেড ফুডকোট। শুধু ইফতার আয়োজন নয় যেন এক পারিবারিক মিলনমেলা। এখানে ইফতারির জন্য সাজানো মেন্যুতে এক নতুন সজীবতা পাওয়া যায়। বিভিন্ন স্বাদের ফিউশন খাবার, যেমন বিরিয়ানি, সিজার সালাদ, মেক্সিকান ও আরবীয় রোস্ট এবং নতুন ধরনের মিষ্টি যা শহরের খাবারপ্রেমীদের আকর্ষণ করে। একদিকে যেমন প্রতিটি খাবারের স্বাদে রয়েছে বাড়তি তৃপ্তি, তেমনি অন্যদিকে এখানকার পরিবেশে পাওয়া যায় রমজানের ঐতিহ্য এবং বন্ধুত্বের একটি বিশেষ অনুভূতি।

গতকাল বালি আকের্ড ফুডকোটে গিয়ে দেখা যায়, প্রতিটি রেস্তোরাঁয় ভিন্ন ভিন্ন আইটেম। দেখা মেলে হরেক পদের চাপ, তেহারি, বিরিয়ানি। ইন্ডিয়ান, তুর্কি কিংবা ইতালিয়ান খাবারের স্বাদ নেওয়া যাবে। দিল্লিদরবার, কেএফসি, ক্রাশক্যাপে, ইট এন্ড ট্রিটসহ কয়েকটি রেস্তোরাঁয় আউটলেট ঘুরে দেখা যায়, সবার ইফতার মেন্যুতে ভারী খাবারের উপস্থিতি। এরমধ্যে, বিফ আখনি, চিকেন কাবসা, মোরগপোলাও, চিকেন টিক্কা কাবাব, চিকেন মালাই কাবাব, চিকেন জিলা কাবাব, তান্দুরি ইউংস, ভেজিটেবল পোকরা, ছোলা মাসালা, বেগুনি, জিলাপি, ডিমচপ, চিকেন কোপতা, চিকেন র্শমা, বিফ কোপতা, চিকেন ঝাল ফ্রাই, মাটন হালিম, বিফ হালিম, চিকেন হালিম, কানফা, চিকেন বান, শাহী ফিরনি, থাকছে তাজা ফল, খেজুর, বিভিন্ন রকমের সালাদ, সুপ, গ্রিলড মিট, তন্দুরি চিকেন, বিরিয়ানি, পাস্তা, কাবাবসহ আরও নানা মুখরোচক খাবার। ইতালিয়ান মেন্যুতে রয়েছে, নাগা পাস্তা, পাস্তা সালাদ, টেক্সমেক্স পাস্তা, চারমি চিকেন পাস্তা, ম্যাক কে সীজ, সীফুড স্পাইসিসহ হরেক পদের খাবার। বালি আর্কেড ফুডকোটে ব্যাচ ইফতারের আয়োজন করেন বাকলিয়া স্কুলের সাবেক শিক্ষার্থী কামরুল ইসলাম। তার মতে, এখানে একই ছাদের নিচে হাজারো পদের খাবার পাওয়া যায়। সব পদের স্বাদ নেওয়া যায়। এ সুযোগ অন্যকোথাও পাওয়া যায় না। তাছাড়া ফুডকোটের ইফতারের পরিবেশ অসাধারণ। যেখানে স্বাদ, সংস্কৃতি, আনন্দ এবং একসঙ্গে থাকার অনুভূতি একসাথে উপভোগ করতে পারেন। একই ফুডকোটে পরিবার নিয়ে ইফতার সম্পন্ন করেন ফারজানা হোসেন। ইফতার শেষে তিনি জানান, শপিং করতে এসে ইফতারের সময় হলে আসা। রমজানের আগে কখন এরকম ভিড় দেখিনি এখন যেন ইফতারের হাট। পরিবেশও খুব ভালো। একদিকে যেমন দেশের বিভিন্ন ঐতিহ্যবাহী খাবার, তেমনি অন্যদিকে বিদেশি খাবারের স্বাদও পাওয়া যায়।

দিল্লি দরবার রেসেঁ্তারার বিক্রয়কর্মী হামিদ বলেন, প্রতিদিন ইফতারের সময় বেশ জমে উঠে। খাবারের চাহিদা অনেক বেড়ে যায়। বিশেষ করে বিরিয়ানি, জিলাপি, শর্মা এবং কাবাবের চাহিদা বেশি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধসশস্ত্র যুদ্ধের প্রস্তুতি নিতে থাকে বাঙালি
পরবর্তী নিবন্ধসব মামলায় খালাস পেলেন তারেক রহমান