বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তিতে প্রথম চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়

আজাদী প্রতিবেদন | শুক্রবার , ১ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ at ৬:০৮ পূর্বাহ্ণ

বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) ২০২২২৩ অর্থবছরের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ) মূল্যায়নে দেশের মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে শীর্ষ অবস্থান দখল করে নিয়েছে চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (চমেবি)। মোট ১০০ স্কোরের মধ্যে সার্বিক ৮৮.১৮ স্কোর পেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়টি এ অবস্থান অর্জন করেছে। চারটি মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ৬৪.৫১ স্কোর পেয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়। আর ৪০.৩৩ স্কোর পেয়ে তৃতীয় অবস্থানে রাজশাহী মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় এবং সার্বিক ৩৩ স্কোর পেয়ে চতুর্থ স্থানে সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়। দেশের ৫ম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে খুলনা মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় এখনো এপিএ’র আওতায় আসেনি। গতকাল বৃহস্পতিবার ইউজিসির সচিব ড. ফেরদৌস জামানের স্বাক্ষরে দেশের ৪৬টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের এপিএ’র মূল্যায়নের ফলাফল সংক্রান্ত এক চিঠিতে এ ফলাফল জানানো হয়।

বাংলাদেশ সরকারের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন নির্ধারিত বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তির আওতায় কৌশলগত উদ্দেশ্যসমূহ, জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল, গভর্ন্যান্স উদ্ভাবন, অভিযোগ প্রতিকার ব্যবস্থাপনা, সেবা প্রদান প্রতিশ্রুতি ও তথ্য অধিকার কর্মপরিকল্পনার বিষয়ে এ মূল্যায়ন করা হয়।

ইউজিসির মূল্যায়ন ফলাফল পর্যালোচনায় দেখা যায়, এপিএ মূল্যায়নে ৪৬টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান ১২তম। আর চট্টগ্রাম বিভাগের সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ২য় অবস্থান এই বিশ্ববিদ্যালয়ের (চমেবি)। সার্বিক ৮৯.৫০ স্কোর পেয়ে বিভাগে প্রথম অবস্থানে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়।

উল্লেখ্য, সরকারি দপ্তরের কাজের স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা এবং অর্থের যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিতে ২০১৪২০১৫ অর্থ বছর থেকে সরকার বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ) করে আসছে। ২০১৭ সালে চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় অনুমোদন লাভ করে। ২০১৮১৯ অর্থ বছর থেকে ইউজিসির সাথে এ বিশ্ববিদ্যালয় এপিএ চুক্তি করে আসছে।

গত অর্থবছরেও মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় শীর্ষ অবস্থানে ছিল জানিয়ে উপাচার্য প্রফেসর মো. ইসমাইল খান বলেন, সকল কর্মকর্তাকর্মচারীদের সমন্বিত প্রচেষ্টায় এ সাফল্য অর্জন সম্ভব হয়েছে। এ জন্য সকল কর্মকর্তাকর্মচারীসহ সংশ্লিষ্ট সকলেকে আমি ধন্যবাদ জানাই। শিক্ষা ও গবেষণায় মৌলিক অবদান রাখার পাশাপাশি এ বিশ্ববিদ্যালয়কে একটি আদর্শ উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পরিণত করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ডা. মো. ইসমাইল খান। এপিএ’র মূল্যায়নে ভবিষ্যতে আরো ভালো করার আশা ব্যক্ত করেন তিনি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধউন্নয়নের অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে শেখ হাসিনার বিকল্প নেই
পরবর্তী নিবন্ধসর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থা কার্যকর হলে আমাদের জীবনযাত্রার মান উন্নত হবে