বার্মিংহামে কমনওয়েলথ গেমসের জমকালো উদ্বোধন

ক্রীড়া প্রতিবেদক | শনিবার , ৩০ জুলাই, ২০২২ at ৫:৫৪ পূর্বাহ্ণ

কমনওয়েলথভুক্ত দেশ সমুহকে নিয়ে আয়োজিত কমনওয়েলথ গেমসের ২২ তম আসর শুরু হয়েছে ইংল্যান্ডের বার্মিংহামে। ‘গেমস ফর এভরিওয়ান’ (সবার জন্য খেলা) এই স্লোগানকে সামনে রেখে বার্মিংহামের আলেকজান্ডার স্টেডিয়ামে স্থানীয় সময় বৃহষ্পতিবার রাত ৮টায় শুরু হয় উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। প্রায় আড়াই ঘন্টা স্থায়ী এই অনুষ্ঠানটি স্টেডিয়ামে বসে উপভোগ করে প্রায় ৩০ হাজার দর্শক। বর্নিল উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ব্রিটেনের রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক ইতিহাস তুলে ধরা হয়। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের পর নিজ নিজ দেশের পতাকা হাতে অংশ নেন বিভিন্ন দেশের ক্রীড়াবিদরা। এশিয়ার প্রথম দেশ হিসেবে শুরুতেই লাল সবুজের পতাকা নিয়ে মার্চপাস্টে অংশ নেয় বাংলাদেশ। পতাকা বহন করেন দেশসেরা ভারোত্তোলক মাবিয়া আক্তার সীমান্ত ও বক্সার সুরকৃষ্ণ চাকমা। মার্চ পাস্টে বাংলাদেশ কন্টিনজেন্টের নেতৃত্ব দিয়েছেন শেফ দ্য মিশন অ্যাডভোকেট আব্দুর রকিব মন্টু। মার্চপাস্টে ৩০ জনের একটি দল বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করে।
দীর্ঘ ২০ বছর পর ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠিত হচ্ছে কমনওয়েলথ গেমস। বিভিন্ন দেশের ঐতিহ্য আর ভিন্নধর্মী পরিবেশনায় মুখরিত হয় বার্মিংহাম। সংগীত ও নৃত্যশিল্পীরা মাতিয়ে রাখেন আলেক্সান্ডার স্টেডিয়াম। উদ্বোধনী অনুষ্টানে অংশ নেয় এক হাজার সদস্যের একটি গায়ক দল। এই অনুষ্ঠানে কুইন্স ব্যাটন রিলেরও সমাপ্তি ঘটে। যে রিলেটি বার্মিংহাম পৌঁছানোর আগে ঘুরে এসেছে কমনওয়েলথভুক্ত ৭২টি দেশে। বামির্ংহাম গেমসে পেরি নামক একটি ষাঁড়কে মাসকট হিসেবে নির্বাচিত করা হয়েছে। এটিকে বিভিন্ন রংয়ে রাঙিয়ে দেয়া হয়েছে। বার্মিংহামের পেরি বার নামক স্থানের নামেই এর নামকরণ। এই এলাকাতেই আলেকজান্ডার স্টেডিয়াম অবস্থিত। এবারের গেমসে ৭২ দেশের প্রায় ৫ হাজার ৫৪জন ক্রীড়াবিদ ১১ দিন ধরে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে ১৯ ডিসিপ্লিনে ২৮০টি স্বর্ণপদকের জন্য। গেমসে নতুন করে যুক্ত হয়েছে নারীদের টি-২০ ক্রিকেট, বাস্কেটবল ও হুইলচেয়ার বাস্কেটবল। ফলে গেমস ও প্যারা গেমস মিলিয়ে গেমসের ইতিহাসে সর্বাধিক ইভেন্টে অংশ নিতে যাচ্ছেন নারী ক্রীড়াবিদরা। গেমসে ১৩৬ এবং প্যারা গেমসে ৪২ ইভেন্ট থাকছে শুধুমাত্র নরীদের জন্য। এবারের গেমসে বাংলাদেশের এ্যাথলেটরা লড়বেন ৭টি ইভেন্টে। ইভেন্ট গুলো হচ্ছে বক্সিং, এ্যাথলেটিকস, জিমন্যাস্টিক্স, সাঁতার, ভারোত্তোলন, টেবিল টেনিস ও কুস্তি। এসব ইভেন্ট থেকে কোন পদক পাবে কিনা বাংলাদেশ সে সম্ভাবনা অবশ্য কম। কমনওয়েলথ গেমসে বাংলাদেশের যা সাফল্য এসেছে শ্যুটিং থেকে। কিন্তু এবারের গেমসে নেই শ্যুটিং। নিরাপত্তার অযুহাতে এবারের আসরে শ্যুটিং রাখেনি আয়োজকরা। ফলে বাংলাদেশের পদক জেতার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধএমেচার টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট টুর্নামেন্ট আগ্রাবাদ ও চিটাগাং মাস্টার্স ফাইনালে
পরবর্তী নিবন্ধচট্টগ্রাম কল্লোল সংঘের ফুটবল অনুশীলন শুরু